কথিত ইসলামিক স্টেট (আইএসআইএস)-এর ভারত শাখার প্রধান এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া (SIMI)-র প্রাক্তন পদাধিকারী সাকুইব নাচান মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে আক্রান্ত হয়ে শনিবার দুপুরে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মারা গেছেন।

তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর।

দিল্লি এবং মহারাষ্ট্রের পদঘা অঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা একটি আইএসআইএস সন্ত্রাসবাদী মডিউলের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA) কর্তৃক ২০২৩ সালে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে নাচান তিহার জেলে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে ছিলেন। হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় মঙ্গলবার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

ভর্তির পরপরই চিকিৎসকরা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। চার দিন ধরে তিনি চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে ছিলেন, কিন্তু আজ সকালে তাঁর অবস্থার অবনতি হয়। হাসপাতাল কর্মকর্তাদের মতে, দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

সাকুইব আব্দুল হামিদ নাচান মহারাষ্ট্রের থানে জেলার পদঘা শহরের বাসিন্দা ছিলেন। ১৯৯০-এর দশকের শেষের দিকে এবং ২০০০-এর দশকের শুরুর দিকে, তিনি সিমি-র একজন সিনিয়র নেতা হিসাবে পরিচিতি লাভ করেন। সিমি ২০০১ সালে দেশবিরোধী কার্যকলাপের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছিল।

২০০২ এবং ২০০৩ সালে মুম্বাই জুড়ে ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণের তদন্ত চলাকালীন নাচানের নাম জাতীয় স্তরে উঠে আসে, যার মধ্যে মুম্বাই সেন্ট্রাল, ভিলে পার্লে এবং মুলুন্দ স্টেশনের বিস্ফোরণও ছিল। এই হামলায় কমপক্ষে ১৩ জন নিহত এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়েছিলেন।

অবশেষে অবৈধ অস্ত্র, যার মধ্যে একটি একে-৫৬ রাইফেলও ছিল, রাখার অভিযোগে এই মামলাগুলোতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন। সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ আইন (POTA)-এর অধীনে পরিচালিত একটি বিশেষ আদালত তাঁকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়। ২০১৭ সালে তিনি তাঁর সাজা পূর্ণ করেন এবং ভালো আচরণের জন্য পাঁচ মাসেরও বেশি সময় সাজা মওকুফ পান।

২০২৩ সালে, সারা ভারতে আইএসআইএস সন্ত্রাসী ও তাদের সমর্থকদের বিরুদ্ধে অভিযানের অংশ হিসেবে NIA তাকে আবার গ্রেফতার করে। দিল্লি-পদঘা আইএসআইএস টেরর মডিউল মামলার মূল অভিযুক্ত হিসেবে তাঁকে চিহ্নিত করা হয়েছিল।