স্ত্রী গর্ভবতী না হওয়ায় স্বামীর সন্দেহ, পরীক্ষা করাতেই রিপোর্ট দেখে চোখ কপালে! জানুন আসল ঘটনা

স্ত্রী গর্ভবতী না হওয়ায় স্বামীর সন্দেহ, পরীক্ষা করাতেই রিপোর্ট দেখে চোখ কপালে! জানুন আসল ঘটনা

গুজরাটের আহমেদাবাদে এক অদ্ভুত ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে এক স্বামী তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছেন। স্বামীর অভিযোগ, তার স্ত্রী নিজের আসল পরিস্থিতি লুকিয়ে তাকে ঠকিয়েছেন। এখন তিনি পুলিশকে স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বিবাহ বিচ্ছেদ চাইছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে সরখেজ এলাকায়। ২০২৩ সালের মে মাসে ওই যুবকের পরিবার পালনপুরের ৩২ বছর বয়সী এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক করে। দুই পরিবারের দেখা হওয়ার পর তারা এই সম্পর্ক মেনে নেয় এবং ২০২৩ সালের ১৯ জুন তাদের বিয়ে হয়। তারা একটি পরিবার শুরু করার পরিকল্পনা করেছিল, কিন্তু স্ত্রী গর্ভবতী না হওয়ায় তাদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

দম্পতি একজন মহিলা ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করেন, যিনি ওষুধ দেন, কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। সন্দেহ হওয়ায় স্বামী তার স্ত্রীর আরও একটি সোনোগ্রাফি করান। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি তার শ্যালিকার সঙ্গে পালডির একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যান, যেখানে ডাক্তার চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন। ডাক্তার জানান, স্ত্রীর জরায়ুতে সমস্যা ছিল এবং তার বয়সও ৩২ নয়, বরং ৪০ থেকে ৪২-এর মধ্যে, যার ফলে স্বাভাবিক গর্ভধারণ কঠিন ছিল। অন্য একজন ডাক্তারও একই কথা বলেন।

এই কথা জানার পর স্বামী তার স্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন। স্ত্রী প্রথমে বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও পরে তিনি তার বয়স এবং শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে পরিবারকে ভুল তথ্য দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। তিনি ক্ষমাও চেয়েছিলেন, কিন্তু স্বামী তার এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন।

এছাড়া, স্বামী দাবি করেছেন যে তার স্ত্রী তার সার্টিফিকেট দিতে বরাবরই এড়িয়ে গেছেন এবং তার জন্মতারিখ ১৮ মে, ১৯৮৫ থেকে পরিবর্তন করে ১৮ মে, ১৯৯১ করা হয়েছে। তিনি ঘটনা সংক্রান্ত দুই ঘণ্টার একটি অডিও রেকর্ডিংও জমা দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে তার স্ত্রী প্রায়ই বাপের বাড়ি যেতেন এবং শ্বশুরবাড়ির বাড়ি থেকে দামি জিনিসপত্রও নিয়ে যেতেন। পুলিশ এখন বিষয়টি তদন্ত করছে এবং স্বামী এই বিয়ে ভেঙে দিতে অনড়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *