Sleeping Tips: রাতে শান্তিতে ঘুমোতে অনেকেরই সমস্যা হয়। রাতে কিছুক্ষণ ফোন ঘাঁটার পর যখন শেষে বিছানায় চোখ বন্ধ করে ঘুমোতে যাওয়া হয়, তখন বিছানাটাকেই অচেনা মনে হয়।

গভীর ঘুম তো দূরের কথা, কিছুক্ষণও চোখ লেগে থাকে না। মনে নানা চিন্তা আসতে থাকে, বারবার ফোন হাতে নিতে ইচ্ছে করে, এপাশ-ওপাশ করতে করতেই রাত কেটে যায় আর যদি একটু চোখ লাগেও, সামান্য শব্দেই ঘুম ভেঙে যায়। আপনারও যদি এই সমস্যা থাকে এবং রাতে ঘুমোতে অসুবিধা হয় (Sleeplessness), তাহলে ডা. রোহিত মাধব সানের দেওয়া টিপস আপনার কাজে আসতে পারে। এই চিকিৎসক তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে কিছু টিপস শেয়ার করেছেন, যা রাতে আপনাকে শান্তিতে ঘুমোতে সাহায্য করবে।

কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বা স্ট্রোক আসার আগে শরীরে এই ৫টি লক্ষণ দেখা দিতে পারে, সময় থাকতে এই সংকেতগুলি চেনা জরুরি

অন্ধকার ঘরে শোওয়া

তা সে টিভির আলো হোক বা জানলা দিয়ে আসা রাস্তার আলোর রোশনাই, এই আলো আপনার মস্তিষ্ককে বিভ্রান্ত করে এবং এর ফলে গভীর ঘুম (Deep Sleep) আসতে সমস্যা হয়। তাই এমন ঘরে শোওয়া উচিত যেখানে একদম অন্ধকার থাকে, যা আপনাকে গভীর ঘুম পেতে সাহায্য করবে।

শোওয়ার আগে গ্যাজেট সরিয়ে রাখা

ঘুমোনোর অন্তত এক ঘণ্টা আগে মোবাইল, ল্যাপটপ এবং টিভি বন্ধ করে দেওয়া উচিত। কারণ, যদি আপনি এই জিনিসগুলো ব্যবহার করে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমোতে যান, তাহলে হয়তো আপনার শরীর ঘুমিয়ে পড়বে কিন্তু মস্তিষ্ক সচল থাকবে। তাই গভীর ঘুমের জন্য সব গ্যাজেট ঘুমোনোর এক ঘণ্টা আগে বন্ধ করে দেওয়া জরুরি।

গরম জলে পা ডোবানো

চিকিৎসকের পরামর্শ, ঘুমোনোর ১৫ মিনিট আগে জলে পা ডুবিয়ে রাখা জরুরি। এমনটা করলে নার্ভাস সিস্টেম সঙ্গে সঙ্গে আরাম পায় এবং স্বাভাবিকভাবেই গভীর ঘুম আসে।

ডিনার ও শোওয়ার সময়ের মধ্যে ব্যবধান

ডিনার এবং ঘুমোনোর সময়ের মধ্যে ২ ঘণ্টার ব্যবধান থাকা উচিত। যদি এই ব্যবধান কম হয়, তাহলে হজমের জন্য শরীর নিজেকে প্রস্তুত করতে পারে না। তাই খাওয়া এবং ঘুমোনোর মধ্যে ফারাক থাকা দরকার।

আবেগের চাপ নিয়ে না শোওয়া

চিকিৎসকের মতে, যদি আপনি আবেগের চাপ (Emotional Stress) নিয়ে শুয়ে থাকেন, তাহলে ঘুম আসতে অসুবিধা হবে। শান্ত মন নিয়েই ঠিকভাবে ঘুমোনো যায় এবং শান্ত মন থেকেই গভীর নিরাময় সম্ভব হয়।