বদাউন: কুঁওয়ারগাঁও থানার একটি গ্রামে এক যুবক এবং তার পরিবারের সদস্যরা মিলে তার প্রেমিকাকে হত্যা করেছে। এরপর তারা পুকুরের পাশে মৃতদেহটি পুড়িয়ে দেয় এবং ছাই পর্যন্ত পুকুরে ফেলে দেয়। মঙ্গলবার রাতে গ্রামে একটি বরযাত্রী এসেছিল। এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে যুবক ও তার পরিবার পুরো ঘটনাটি ঘটিয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। পুলিশকে খবর দেওয়ার পর থেকে যুবক ও তার পরিবার নিখোঁজ।

ঘটনাটি কুঁওয়ারগাঁও থানার একটি গ্রামের। এখানকার এক যুবক নয়ডায় থেকে দর্জির কাজ করত। তার পাশেই দুই সন্তানের এক জননী থাকতেন। জানা গেছে, সেখানেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা স্বামী-স্ত্রীর মতো থাকতে শুরু করে। কিন্তু এর মধ্যেই যুবকের বিয়ে দাতাগঞ্জ কোতোয়ালি এলাকার একটি গ্রামে ঠিক হয়ে যায়। এতে যুবক অজুহাত দেখিয়ে নয়ডা থেকে নিজের বাড়ি চলে আসে।

যখন তার প্রেমিকা এইS বিষয়ে জানতে পারে, সেও তার পিছুপিছু গ্রামে চলে আসে। ৮ মে যুবকের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই বাড়িতে তুমুল ঝামেলা শুরু হয়। ওই মহিলা থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগও জানিয়েছিলেন এবং যুবকের সঙ্গে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, কিন্তু যুবকের পরিবারের সদস্যরা এর বিরোধিতা করেন। তারা কোনোভাবে মহিলাকে নয়ডা পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। পরে যুবক দাতাগঞ্জ থেকে বিয়ে করে।