‘বাবার কাছে পালানো ছাড়া নেতানিয়াহুর কাছে কোনো বিকল্প ছিল না’, ইরান আমেরিকা ও ইসরায়েল উভয়কেই সতর্ক করল

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ১৩ জুন, ২০২৫ থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধ ১২ দিন পর থেমে গেল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ঘোষণা করতে হয় যে, উভয় দেশ যুদ্ধবিরতিতে (Ceasefire) সম্মত হয়েছে, যা ২৪ জুন, ২০২৫ থেকে কার্যকর হয়েছে।
এর পর ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে বিমান হামলা বন্ধ হয়ে যায়। এবার ইরান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে নিশানা করেছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাঘচি (Seyed Abbas Araghchi) নেতানিয়াহুর জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘বাবা’ পর্যন্ত বলেছেন।
ইরানের আছে গৌরবময় ইতিহাস
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাঘচি (Seyed Abbas Araghchi) সামাজিক মাধ্যম এক্স (X) এ একটি দীর্ঘ পোস্ট লিখেছেন। এতে তিনি বলেন, ‘ইরানিদের জটিলতা এবং দৃঢ়তা আমাদের গৌরবময় ইতিহাসে লিপিবদ্ধ আছে, যা কঠোর পরিশ্রম এবং ধৈর্যের মাধ্যমে বোনা হয়েছে।’
আমরা আমাদের মূল্য জানি – ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আরাঘচি বলেন যে, একটি জাতি হিসেবে আমাদের মূল ভিত্তি খুবই সহজ এবং সরল। আমরা আমাদের মূল্য জানি। আমাদের স্বাধীনতাকে আমরা মূল্য দিই। আমরা কখনোই অন্য কাউকে আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ করতে দিই না।
খামেনেই-এর প্রতি অপমানজনক শব্দ পরিহার করুন ট্রাম্প – ইরান
আমেরিকাকে নিশানা করে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যদি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সত্যিই একটি চুক্তি চান, তবে তাকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেই-এর প্রতি অপমানজনক শব্দ এবং অগ্রহণযোগ্য ভাষা পরিহার করতে হবে। ট্রাম্পকে খামেনেই-এর লক্ষ লক্ষ অনুগামীকে আঘাত করা বন্ধ করতে হবে।’
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র থেকে বাঁচতে বাবার কাছে পালালেন নেতানিয়াহু
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাঘচি বলেন, ‘মহান এবং শক্তিশালী ইরানি জনগণ বিশ্বকে দেখিয়েছে যে, ইসরায়েলি শাসনের (নেতানিয়াহু) কাছে আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র থেকে বাঁচতে ‘বাবার’ (ডোনাল্ড ট্রাম্প) কাছে পালানো ছাড়া আর কোনো বিকল্প ছিল না।’
সম্মান দিলে আপনিও সম্মান পাবেন – ইরান
আরাঘচি বলেন, ‘যদি বিভ্রান্তি থেকে আরও বড় ভুল হয়, তাহলে ইরান তার প্রকৃত ক্ষমতা প্রকাশ করতে দ্বিধা করবে না, যা অবশ্যই ইরানের ক্ষমতা সম্পর্কে যেকোনো বিভ্রান্তি দূর করবে।’ এর সাথে তিনি বলেন যে, সদিচ্ছা থেকে সদিচ্ছা জন্মায়। কাউকে সম্মান দিলে আপনিও সম্মান পাবেন।