কলকাতা গণধর্ষণ মামলা:মহুয়া মৈত্রর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ সমর্থন, টিএমসি নেতাদের সতর্ক করলেন

পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় এক আইন ছাত্রীর গণধর্ষণ মামলার পর তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) নেতাদের বিতর্কিত মন্তব্য সামনে এসেছে। এই মন্তব্যগুলো থেকে দল নিজেদের দূরে সরিয়ে নিয়েছে, যেটার জন্য টিএমসি সাংসদ মहुआ মৈত্র নিজের দলের প্রশংসা করেছেন।
তিনি বলেছেন যে, মহিলাদের প্রতি বিদ্বেষ প্রতিটি দলেই আছে, কিন্তু টিএমসি এই সব থেকে আলাদা কারণ তারা নিজেদের নেতাদের বাজে কথার নিন্দা করতে পিছপা হয় না।
মুয়া মৈত্র টিএমসি নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মদন মিত্রের সেইসব মন্তব্যের কথা উল্লেখ করছিলেন, যা থেকে দল নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে। এই নেতারা গণধর্ষণ মামলা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন, যা রাজ্যে ব্যাপক জনরোষ সৃষ্টি করেছিল। এক্স-এ তিনি টিএমসি-র পোস্ট রিপোস্ট করে লিখেছেন, “ভারতে মহিলাদের প্রতি ঘৃণা দলীয় সীমা অতিক্রম করে। টিএমসি-তে যেটা আলাদা, সেটা হলো আমরা এই ঘৃণ্য মন্তব্যগুলির নিন্দা করি, যেই করে থাকুক না কেন।”
টিএমসি নেতাদের কোন মন্তব্যগুলো নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে?
শুক্রবার টিএমসি সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় চমকপ্রদ মন্তব্য করে বলেছিলেন যে, একজন মহিলার নোংরা মানসিকতার পুরুষদের সাথে বাইরে যাওয়ার আগে জানা উচিত যে সে কার সঙ্গ করছে। অন্যদিকে, টিএমসি বিধায়ক মদন মিত্র বলেছিলেন যে, আইন ছাত্রী যদি একা কলেজে না যেত তাহলে এই ঘটনা এড়ানো যেত।
টিএমসি এই দুটি মন্তব্য থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নিয়েছে
টিএমসি বলেছে, “দক্ষিণ কলকাতা ল কলেজে ঘটে যাওয়া জঘন্য অপরাধের বিষয়ে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিধায়ক মদন মিত্র যে মন্তব্য করেছেন, তা তাদের ব্যক্তিগত মতামত। দল স্পষ্টভাবে তাদের মন্তব্য থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করছে এবং এই মন্তব্যগুলোর তীব্র নিন্দা করছে। এই ধরনের ভাবনা কোনোভাবেই দলের অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না। আমাদের অবস্থান স্পষ্ট, মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ একেবারেই বরদাস্ত করা হবে না এবং আমরা এই জঘন্য অপরাধে জড়িত সবার কঠোর শাস্তির দাবি জানাই।”