বাংলাদেশের কুমিল্লার মুরাদনগরে এক হিন্দু তরুণীর ধর্ষণের অভিযোগে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ২১ বছরের ওই তরুণী স্থানীয় হরিসেবা নামক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বাবার সঙ্গে গিয়েছিলেন। সেখানে অভিযুক্ত তাঁকে চাকু দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। অভিযোগ, অভিযুক্ত ঘটনার ভিডিও রেকর্ড করে তা একাধিক ব্যক্তির কাছে ফরোয়ার্ড করেছে এবং তরুণীকে পুলিশে অভিযোগ করলে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত একজন বিএনপি নেতা। এই ঘটনায় ভিডিও ভাইরাল করার অভিযোগে বাংলাদেশ পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার প্রতিবাদে কুমিল্লা ও মুরাদনগরে বিক্ষোভে নেমেছে জনতা, অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে। সামাজিক মাধ্যমে এই নৃশংস ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ন্যায়বিচারের দাবি জোরালো হচ্ছে।

এই ঘটনা বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর চলমান হামলার প্রেক্ষাপটে নতুন উত্তেজনা যোগ করেছে। সম্প্রতি ঢাকার খিলক্ষেতে দুর্গামন্দির ভেঙে ফেলার ঘটনায় ভারত ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল। আমেরিকার একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকে বাংলাদেশে হিন্দু ও অহমদিয়া মুসলিমদের উপর হিংসা বেড়েছে। হিন্দুদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া, পূজাস্থল ভাঙচুরের ঘটনা ঘন ঘন ঘটছে। ইউনূস সরকার দাবি করেছে, খিলক্ষেতের মন্দিরটি রেলওয়ের জমিতে অনুমতি ছাড়া নির্মিত হয়েছিল। ভারত আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই হামলার বিষয়ে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করছে। এই ঘটনায় ন্যায়বিচার ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।