ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাজিদ তাখত-রাভানছি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, আলোচনার টেবিলে ফিরতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের ওপর নতুন করে হামলা চালানোর চিন্তা বাদ দিতে হবে। তিনি জানান, ট্রাম্প প্রশাসন মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে আলোচনায় ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করলেও, চলমান সংঘাতের মধ্যে হামলার বিষয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট নয়। ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি জড়িয়ে পড়া এবং ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলার পর এই মন্তব্য এলো। ইরান শান্তিপূর্ণ কাজে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে সক্ষম দাবি করে পারমাণবিক বোমা তৈরির অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুত থাকলেও, যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই তাদের আগ্রাসী নীতি পরিহার করতে হবে বলে উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আলোচনার সময় নতুন করে হামলার পুনরাবৃত্তি হবে কিনা, যুক্তরাষ্ট্রকে সে বিষয়ে স্পষ্ট করতে হবে। আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (IAEA)-এর প্রধান রাফায়েল গ্রসি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও, কয়েক মাসের মধ্যেই ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ শুরু করতে পারবে। তবে ইরানের পার্লামেন্ট IAEA-এর সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করার প্রস্তাব পাশ করেছে, কারণ তাদের অভিযোগ সংস্থাটি ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র ঘেঁষা। ইরান যুদ্ধ চায় না, বরং আলোচনা ও কূটনীতি চায়, তবে যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকবে।