যাত্রীদের জন্য এবার বড় স্বস্তির খবর নিয়ে আসছে ভারতীয় রেলওয়ে। বর্তমানে, যদি কোনো টিকিট ওয়েটিং লিস্টে থাকে এবং সেটি কনফার্ম না হয়, তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে গেলেও পুরো টাকা ফেরত আসে না। কারণ, রেলওয়ে ‘ক্লার্ক ফি’ বাবদ কিছু টাকা কেটে নেয়। এই চার্জ বিভিন্ন শ্রেণির টিকিট অনুযায়ী ৩০ টাকা থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এর ফলে যাত্রীদের একদিকে যেমন টিকিট কনফার্ম না হওয়ার কারণে হতাশা হয়, তেমনই অন্যদিকে ফেরতের পরিমাণ কমে যাওয়ায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। এবার রেলওয়ে এই সমস্যা সমাধানের জন্য এই ফি পুরোপুরি বাতিল করার কথা ভাবছে, যা কার্যকর হলে ওয়েটিং লিস্টের টিকিট বাতিল হওয়ার পর যাত্রীরা তাদের পুরো টাকা ফেরত পাবেন।

দীর্ঘদিন ধরে বাতিল টিকিটের উপর এই চার্জ কাটা নিয়ে বিতর্ক চলছিল। সাধারণ মানুষ বারবার অভিযোগ করেছেন যে, যখন টিকিট ওয়েটিং লিস্টে থাকার কারণে এমনিতেই বাতিল হয়ে যায়, তখন কেন রেলওয়ে এই চার্জ কাটে? এই চার্জ বাতিলের প্রস্তাব এখন রেলওয়ের বিবেচনার অধীনে রয়েছে। বর্তমানে, সেকেন্ড ক্লাস (2S) টিকিটে ৩০ টাকা, স্লিপার ক্লাসে ৬০ টাকা এবং থার্ড এসি সহ অন্যান্য সব ক্লাসে ৬০ টাকা এবং তার সাথে জিএসটি (GST) চার্জ কাটা হয়। এই ফি আইআরসিটিসি (IRCTC) পোর্টাল থেকে টিকিট বুক করা হলেও প্রযোজ্য হয়। ওয়েটিং লিস্টের টিকিট কনফার্ম না হলে টিকিট বাতিলের প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন হয় এবং ক্লার্ক চার্জ ছাড়াও কিছু অন্যান্য ফি কেটে টাকা ফেরত দেওয়া হয়।

যাত্রীদের জন্য সুখবর: ওয়েটিং টিকিট বাতিল হলেও মিলবে পুরো রিফান্ড, চার্জ বাতিলের প্রস্তুতি রেলওয়ের
ভারতীয় রেলওয়ে এখন বাতিল টিকিটের উপর যাত্রীদের বড় ধরনের স্বস্তি দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বর্তমানে, যদি কোনো টিকিট বুক করা হয় এবং সেটি ওয়েটিং লিস্টে থাকে, তবে বাতিল হয়ে গেলেও পুরো টাকা ফেরত আসে না। এর কারণ হলো, রেলওয়ে কিছু চার্জ ‘ক্লার্ক ফি’ হিসেবে কেটে নেয়।

এই চার্জ বিভিন্ন ক্লাস অনুযায়ী ৩০ টাকা থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এর ফলে যাত্রীদের দ্বিগুণ ধাক্কা লাগে—একদিকে তাদের টিকিট কনফার্ম হয় না, অন্যদিকে রিফান্ডেও টাকা কাটা যায়। এখন এমন পরিস্থিতি থেকে মানুষকে বাঁচাতে রেলওয়ে এই ফি পুরোপুরি বাতিলের কথা বিবেচনা করছে। এমনটা হলে ওয়েটিং লিস্টের টিকিট কনফার্ম না হওয়ার পর মানুষ পুরো রিফান্ড পাবেন।

দীর্ঘদিনের বিতর্ক শেষ হতে চলেছে?
বাতিল টিকিটের উপর চার্জ কাটা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক চলছে। বিভিন্ন ক্লাস অনুযায়ী এই চার্জ ৩০ টাকা থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। সাধারণ মানুষ বারবার অভিযোগ করেন যে, যে টিকিটগুলো তারা নিজেরা বাতিল করেন না এবং ওয়েটিং লিস্টে থাকার কারণে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যায়, সেগুলোর উপর রেলওয়ে কেন চার্জ আদায় করে? এই চার্জ বাতিলের প্রস্তাব এখন রেলওয়ের কাছে রাখা হয়েছে, যার উপর তারা বিবেচনা করছে। বর্তমানে, 2S ক্লাসের বাতিল টিকিটে ৩০ টাকা চার্জ লাগে। স্লিপার ক্লাসে ৬০ টাকা এবং থার্ড এসি সহ অন্যান্য সকল ক্লাসে ৬০ টাকা + জিএসটি (GST) নেওয়া হয়।

এই ফি তখনও লাগে, যখন টিকিট আইআরসিটিসি (IRCTC) পোর্টাল থেকেই বুক করা হয়। ওয়েটিং লিস্টের টিকিট কনফার্ম না হলে টিকিট বাতিলের প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয় হয় এবং ক্লার্ক চার্জ ছাড়াও কিছু অন্যান্য ফি কেটে টাকা ফেরত দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, ২০২৫ অর্থবর্ষে রেলওয়ের রেকর্ড ২.৭ লাখ কোটি টাকা আয় হয়েছে। এই আয় মালবাহী ট্রেন এবং যাত্রীবাহী ট্রেন থেকে এসেছে। এছাড়াও রেলওয়ের যাত্রীর সংখ্যাও বেড়েছে। রেলওয়ে এটাকে তাদের পরিষেবার উপর মানুষের আস্থা হিসেবে দেখছে। রেলওয়ে মালবাহী থেকে ১.৭৫ লাখ কোটি টাকা রাজস্ব পেয়েছে। এছাড়াও, যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৭৩৫ কোটি।

কেবল বাতিল চার্জ থেকেই রেলওয়ের ৬ হাজার কোটি টাকা আয়!
জানিয়ে রাখি, টিকিট বাতিলের চার্জ থেকেও রেলওয়ের বড় অঙ্কের রাজস্ব আয় হয়। একটি আরটিআই (RTI) এর জবাবে দেওয়া তথ্য থেকে জানা গেছে যে, রেলওয়ে ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ৪ বছরে শুধু টিকিট বাতিলের চার্জ থেকেই ৬ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব অর্জন করেছে। এই তথ্য সামনে আসার পর থেকেই ওয়েটিং লিস্টের টিকিট বাতিল হওয়ার পর কাটা চার্জ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।