চার রাজ্যে বিজেপি’র সভাপতি পদের মনোনয়ন শুরু, মহেন্দ্র ভাট ও রাজীব বিন্দাল কি ফিরছেন দায়িত্বে?

ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) চারটি রাজ্যে তাদের রাজ্য সভাপতি পদের জন্য মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, তেলেঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশে নেতারা মনোনয়ন পত্র নিয়েছেন। এই প্রক্রিয়া জাতীয় সভাপতি নির্বাচনের আগে দলের সাংগঠনিক কাঠামোকে শক্তিশালী করার একটি অংশ। বর্তমানে, বিজেপি’র জাতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার মেয়াদ শেষ হয়েছে এবং নতুন সভাপতি নিয়োগের আগে অন্তত ১৯টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সাংগঠনিক নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া জরুরি।
উত্তরাখণ্ডে রাজ্যসভার সাংসদ এবং বর্তমান সভাপতি মহেন্দ্র ভাট আবারও সভাপতি পদের জন্য মনোনয়ন পত্র নিয়েছেন। মনে করা হচ্ছে, তাকে পুনরায় এই দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। একইভাবে, হিমাচল প্রদেশে বর্তমান সভাপতি রাজীব বিন্দাল-কে আবার সভাপতি করা হতে পারে, তিনিও মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তেলেঙ্গানায় বিজেপি নিজেদের শক্তিশালী করতে চাইছে এবং এখানে রামচন্দ্র রাও-কে রাজ্য সভাপতি করার পরিকল্পনা রয়েছে। অন্যদিকে, অন্ধ্রপ্রদেশে বিজেপি টিডিপি (TDP) সরকারের অংশীদার এবং এখানে পিভিএন মাধব-কে সভাপতি করা হবে বলে জানা গেছে। এই চারটি রাজ্যে নির্বাচন সম্পন্ন হলে মোট ১৮টি রাজ্যে সাংগঠনিক প্রক্রিয়া শেষ হবে, যা ১৯টি রাজ্যের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে একটি কম।
বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি নির্বাচন: উত্তরাখণ্ড, হিমাচল, তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশে মনোনয়ন জমা
ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) চারটি রাজ্যের প্রদেশ সভাপতি পদের জন্য মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এই রাজ্যগুলি হল উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, তেলেঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ। এর মধ্য দিয়ে জাতীয় সভাপতি নির্বাচনের আগে দলের সাংগঠনিক নির্বাচন প্রক্রিয়া আরও গতি পেয়েছে।
মহেন্দ্র ভাট কি উত্তরাখণ্ডে ফিরছেন?
উত্তরাখণ্ডে রাজ্যসভার সাংসদ এবং বর্তমান সভাপতি মহেন্দ্র ভাট আবারও প্রদেশ সভাপতির জন্য মনোনয়ন পত্র নিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে পুনরায় এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।
হিমাচল প্রদেশে রাজীব বিন্দালই কি আবার?
হিমাচল প্রদেশে বর্তমান সভাপতি রাজীব বিন্দাল-কে বিজেপি আবারও সভাপতি পদে বসাতে চলেছে। তিনিও প্রদেশ সভাপতি পদের জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশে নতুন মুখ
এছাড়াও, বিজেপি তেলেঙ্গানায় নিজেদের শক্তিশালী করতে চাইছে। এখানে বিজেপি রামচন্দ্র রাও-কে প্রদেশ সভাপতি করতে চলেছে। অন্যদিকে, অন্ধ্রপ্রদেশের ক্ষেত্রে, যেখানে বিজেপি টিডিপি (TDP) সরকারের অংশীদার, সেখানে বিজেপি পিভিএন মাধব-কে সভাপতি করবে।
১৯টি রাজ্যে সাংগঠনিক নির্বাচন
বিজেপি নতুন জাতীয় সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া দ্রুত গতিতে চালাচ্ছে। বর্তমান দলের সভাপতি জেপি নড্ডার মেয়াদ শেষ হয়েছে এবং নতুন সভাপতি নিয়োগের আগে অন্তত ১৯টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সাংগঠনিক নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া উচিত। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৪টি রাজ্যে এই প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। উত্তরাখণ্ড, হিমাচল, তেলেঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশে সাংগঠনিক নির্বাচন শেষ হওয়ার পর মোট ১৮টি রাজ্য হবে, তবুও একটি রাজ্য বাকি থেকে যাবে।
বিজেপি’র অগ্রাধিকার কি?
জাতীয় সভাপতি নির্বাচনের আগে দল চায় যে উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলিতে সাংগঠনিক নির্বাচন সম্পন্ন হোক। এই রাজ্যগুলিতে প্রদেশ সভাপতি নির্বাচন সম্পন্ন হলে দেশে এই বার্তা যাবে যে দল সব বড় রাজ্যের প্রদেশ সভাপতিদের নির্বাচন দলীয় ঐকমত্যের মাধ্যমে সম্পন্ন করেছে।