ভারতীয় ক্রিকেটের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি তার জনপ্রিয় উপাধি ‘ক্যাপ্টেন কুল’-এর আইনি স্বত্ব পেতে চলেছেন। সম্প্রতি, ধোনি “ক্যাপ্টেন কুল” নামের জন্য ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রেশনের আবেদন করেছিলেন, যা এখন অনুমোদিত এবং বিজ্ঞাপিত হয়েছে।

কী কারণে এই ট্রেডমার্ক ধোনির জন্য গুরুত্বপূর্ণ?
ধোনি এই ট্রেডমার্কটি খেলাধুলা প্রশিক্ষণ, প্রশিক্ষণ সুবিধা এবং স্পোর্টস কোচিং পরিষেবাগুলির জন্য ক্লাস ৪১-এর অধীনে রেজিস্টার করিয়েছেন। এটি কেবল তার নামকে আইনি সুরক্ষা দেয় না, বরং তার ব্র্যান্ড মূল্য এবং পরিচিতিকেও আরও শক্তিশালী করে তোলে। ধোনির আইনজীবী, মানসী আগরওয়াল, এই সাফল্যের কথা জানিয়ে বলেছেন যে এই ঘটনাটি প্রমাণ করে যে ব্যক্তিগত ব্র্যান্ডিং এবং পরিচিতি কীভাবে আইনত কার্যকর হতে পারে, এমনকি যদি একই রকম ট্রেডমার্ক আগেও বিদ্যমান থাকে।

কীভাবে পাওয়া গেল এই অনুমোদন?
প্রাথমিকভাবে, ধোনির “ক্যাপ্টেন কুল” ট্রেডমার্ক আবেদনটি ট্রেডমার্ক আইনের ১১(১) ধারার অধীনে আপত্তির সম্মুখীন হয়েছিল। এর কারণ ছিল যে এই নামে ইতিমধ্যেই একটি ট্রেডমার্ক রেজিস্টার করা ছিল এবং নতুন ট্রেডমার্ক জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারত। কিন্তু ধোনির পক্ষ থেকে যুক্তি দেওয়া হয় যে “ক্যাপ্টেন কুল” নামটি গত বহু বছর ধরে ধোনির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত এবং এটি সাধারণ জনগণ, মিডিয়া এবং ভক্তদের দ্বারা ব্যাপকভাবে গৃহীত হয়েছে।

বলা হয়েছিল যে এই নামটি এখন কেবল একটি উপাধি নয়, বরং ধোনির বাণিজ্যিক পরিচয়ে পরিণত হয়েছে। ধোনির জনপ্রিয়তা, মিডিয়ায় তার ব্যাপক প্রচার এবং ভক্তদের তার প্রতি ভালোবাসার কারণে এই নামটি এখন অন্য কারও জন্য বিভ্রান্তি তৈরি করবে না। ধোনির এই পরিচিতি পূর্বের ট্রেডমার্কের চেয়েও অনেক বেশি সুপরিচিত এবং প্রতিষ্ঠিত। ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষ এই যুক্তি মেনে নেয় এবং স্বীকার করে যে “ক্যাপ্টেন কুল” কেবল একটি সাধারণ শব্দ নয়, বরং এটি ধোনির ব্যক্তিত্ব, ব্র্যান্ড এবং ভাবমূর্তির অবিচ্ছেদ্য অংশ।

কেন এই ঘটনাটি এত বিশেষ?
এই কেসটি দেখায় যে একজন ব্যক্তি তার নিজস্ব পরিচিতি এবং ভাবমূর্তিকে ট্রেডমার্কের মাধ্যমে আইনি সুরক্ষা দিতে পারেন, এমনকি যদি একই নামের একটি ট্রেডমার্ক আগেও বিদ্যমান থাকে। ধোনির আইনজীবী বলেছেন যে এটি একটি প্রভাবশালী উদাহরণ, যেখানে একজন খেলোয়াড়ের পরিচিতিকে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, মহেন্দ্র সিং ধোনি দীর্ঘদিন ধরে টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক ছিলেন। উইকেটকিপিংয়ের আড়ালে তার ঠান্ডা মাথায় ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতার কারণে তাকে ‘ক্যাপ্টেন কুল’ বলা হত। ধোনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও আইপিএল-এ তিনি চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক হিসেবে খেলছেন।