কে ছিল সেই সন্দীপ, যাকে পুলিশ এনকাউন্টারে মেরে ফেলল? কেন হাইওয়েতে ট্রাক চালকরা তাকে ভয় পেত?

রবিবার গভীর রাতে উত্তরপ্রদেশ এসটিএফ (STF) এবং বাগপত পুলিশের হাতে এনকাউন্টারে নিহত সন্দীপকে হাইওয়েতে ট্রাক চালকরা অত্যন্ত ভয় পেত। মূলত হরিয়ানার ভৈণী গ্রামের বাসিন্দা সন্দীপ এমন এক অপরাধী ছিল, যে বহু ট্রাক চালককে হত্যা করে হাইওয়েতে নিজের নামে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল।
২৯শে জুন রাতে বাগপতে উত্তরপ্রদেশ এসটিএফ (STF) এবং বাগপত পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সন্দীপকে ঘিরে ফেলে। পুলিশের মতে, সন্দীপ গুলি চালাতে চালাতে পালানোর চেষ্টা করে এবং পাল্টা গুলিতে সে আহত হয়। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত অপরাধীর পরিচয় নিশ্চিত করার পর জানা যায় যে, সে হরিয়ানার রোহতকের ভৈণী মহারাজগঞ্জ, থানা মেহমের বাসিন্দা সন্দীপ। পুলিশ কানপুরের পানকি থানা এলাকার ৪ কোটি টাকার নিকেল প্লেট লুট মামলায় সন্দীপকে খুঁজছিল। তার উপর এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। ট্রাক চালকদের মধ্যে সন্দীপের ব্যাপক আতঙ্ক ছিল।
উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রে ট্রাক চালকদের সাথে হওয়া ১৬টিরও বেশি হত্যা ও লুটপাটের ঘটনায় তার নাম ছিল। জানা যায়, সে চারটিরও বেশি ট্রাক চালককে হত্যা করেছিল। ট্রাক চালকদের নিশানা করার পেছনে তার উদ্দেশ্য ছিল লুট করা। তার একটি সুসংগঠিত গ্যাং ছিল, যা থেকে ট্রাক চালকরা ভীত থাকত।
হাইওয়ের ত্রাস: সন্দীপকে এনকাউন্টারে খতম করল পুলিশ, স্বস্তিতে ট্রাক চালকরা
উত্তরপ্রদেশ এসটিএফ (STF) এবং বাগপত পুলিশের হাতে রবিবার গভীর রাতে এনকাউন্টারে নিহত হয়েছে সেই কুখ্যাত অপরাধী সন্দীপ, যার আতঙ্কে হাইওয়েতে ট্রাক চালকরা থরহরি কম্পন খেত। মূলতঃ হরিয়ানার ভৈণী গ্রামের বাসিন্দা সন্দীপ এমন একজন দাগী অপরাধী ছিল, যে বহু ট্রাক চালককে নৃশংসভাবে হত্যা করে হাইওয়েতে নিজের একচ্ছত্র রাজত্ব কায়েম করেছিল।
কী ঘটেছিল সেই রাতে?
২৯শে জুন রাতে উত্তরপ্রদেশ এসটিএফ (STF) এবং বাগপত পুলিশ একটি গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বাগপতে সন্দীপকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। পুলিশের দাবি অনুযায়ী, সন্দীপ তাদের দেখে গুলি চালাতে চালাতে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে সন্দীপ গুরুতর আহত হয়। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সন্দীপের অপরাধের ডায়েরি
পুলিশ নিহত অপরাধীর পরিচয় নিশ্চিত করার পর জানতে পারে যে, সে হরিয়ানার রোহতকের মেহম থানার ভৈণী মহারাজগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা সন্দীপ। পুলিশ কানপুরের পানকি থানা এলাকায় সংঘটিত ৪ কোটি টাকার নিকেল প্লেট লুট মামলায় তাকে খুঁজছিল। এই মামলার জন্য তার উপর এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।
সন্দীপের নাম উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রে ট্রাক চালকদের সাথে হওয়া ১৬টিরও বেশি হত্যা ও লুটপাটের ঘটনায় যুক্ত ছিল। জানা যায়, সে চারটিরও বেশি ট্রাক চালককে হত্যা করেছে। ট্রাক চালকদের নিশানা করার পেছনে তার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল তাদের মালামাল লুট করা। তার একটি নিজস্ব সুসংগঠিত গ্যাং ছিল, যার নাম শুনলেই ট্রাক চালকরা ভয়ে সিঁটিয়ে যেত।
রাস্তায় ট্রাক থামিয়ে চালাত তাণ্ডব
সন্দীপ রাস্তায় চলমান ট্রাক থামিয়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালাত। এমনকি যখন ট্রাক চালকরা ঘুমিয়ে থাকত, তখনও সে তাদের উপর হামলা করত। সে ট্রাকগুলোকে মালপত্র সহ উধাও করে দিত। সন্দীপের এই গ্যাংটি শুধু উত্তরপ্রদেশেই নয়, হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রের ট্রান্সপোর্টারদের জন্যও এক বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।