চিন মুখ ফেরাতেই ভারত-জাপান জোট, মুকেশ আম্বানিও সুযোগের অপেক্ষায়!

চিন মুখ ফেরাতেই ভারত-জাপান জোট, মুকেশ আম্বানিও সুযোগের অপেক্ষায়!

চীন সম্প্রতি ভারতে রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট (Rare Earth Magnet) সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে, যা দেশের স্বয়ংচালিত এবং ইলেকট্রনিক শিল্পে গুরুতর সংকট তৈরি করেছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় ভারত এখন বিভিন্ন বিকল্প নিয়ে কাজ করছে। এর মধ্যে রয়েছে দেশে রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট উৎপাদন বৃদ্ধি এবং অন্যান্য দেশ থেকে সরবরাহ নিশ্চিত করা। এরই মধ্যে জাপানের কিছু সংস্থা ভারতের সাথে মিলে রেয়ার আর্থ সাপ্লাই চেইন তৈরির সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে।

জাজল কো ম্পা নিগুলির ভারতে আগমন
মিন্ট-এর একটি খবর অনুযায়ী, জাপানের এক ডজনেরও বেশি কো ম্পা নির প্রতিনিধি বর্তমানে ভারতে রয়েছেন। এদের মধ্যে ইভি ব্যাটারি এবং অত্যাবশ্যক খনিজ সরবরাহ শৃঙ্খল (Critical Mineral Supply Chain)-এর সাথে যুক্ত প্যানাসোনিক, মিতসুবিশি কেমিক্যালস এবং সুমিতোমো মেটালস অ্যান্ড মাইনিং-এর মতো সংস্থাগুলি উল্লেখযোগ্য। এই কো ম্পা নিগুলি ভারতে অংশীদারিত্বের সুযোগ খুঁজছে এবং জাপানের শিল্প সংস্থা ব্যাটারি অ্যাসোসিয়েশন অফ সাপ্লাই চেইন-এর অংশ।

ভারতীয় কো ম্পা নি এবং সম্ভাব্য অংশীদারিত্ব
রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতীয় সংস্থাগুলির মধ্যে আমারা রাজা এবং রিলায়েন্স জাজল শিল্পের সাথে আলোচনা করছে। এই আলোচনার মূল বিষয় হলো লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির সাপ্লাই চেইন, যা ইভি এবং শক্তি সঞ্চয় ব্যবস্থায় ব্যবহৃত হয়। ভারত ও জাপানের কো ম্পা নিগুলি রেয়ার আর্থ সেক্টরে চীনের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করতে চায়। রেয়ার আর্থ ম্যাগনেটসের বৈশ্বিক সরবরাহে চীনের অংশীদারি ৯০ শতাংশ। এপ্রিল মাস থেকেই চীন ভারতে রেয়ার আর্থ ম্যাগনেটস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী লিথিয়াম ব্যাটারি উৎপাদনে চীনের অংশীদারি ৮০ শতাংশ, যেখানে জাপান ১০ শতাংশ অংশীদারি নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

তবে, বিশেষজ্ঞদের মতে, জাজল কো ম্পা নিগুলির সাথে এই অংশীদারিত্বের ফলে ভারতীয় সংস্থাগুলির সীমিত সুবিধা হতে পারে, কারণ রেয়ার আর্থ উপাদানগুলির খনিজ উত্তোলন, পরিশোধন এবং প্রক্রিয়াকরণের বেশিরভাগ অংশে চীনের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। বর্তমানে, ভারতের ইভি কো ম্পা নিগুলি যে ব্যাটারি ব্যবহার করে তার তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি চীন থেকে আমদানি করা হয়। এছাড়াও, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান থেকেও কিছু ব্যাটারি আমদানি করা হয়। ভারতীয় কো ম্পা নিগুলি এই নির্ভরশীলতা কমানোর জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

উচ্চমূল্যের সম্ভাবনা
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ভারতীয় কো ম্পা নিগুলির উৎপাদিত ব্যাটারি চীনের তুলনায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বেশি ব্যয়বহুল হতে পারে। এর কারণ হলো, চীনের কো ম্পা নিগুলোকে কাঁচামালের জন্য আমদানির উপর নির্ভর করতে হয় না। যদিও জাজল কো ম্পা নিগুলো ব্যাটারি উপকরণ এবং প্রযুক্তিতে সহায়তা করতে পারে, তবে হাইব্রিড প্রযুক্তির ক্ষেত্রে তাদের কাজ বেশি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *