যুবতীদের উপর ধারাবাহিক অত্যাচার, কসবা কাণ্ডে অভিযুক্তের ‘রাজনৈতিক মদতদাতা’ কারা?

যুবতীদের উপর ধারাবাহিক অত্যাচার, কসবা কাণ্ডে অভিযুক্তের ‘রাজনৈতিক মদতদাতা’ কারা?

কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র নেতা মনোজিৎ মিশ্রের অতীত খতিয়ে দেখতে গিয়ে হতবাক বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। জানা গেছে, ল’কলেজের ছাত্রীদের ‘বান্ধবী’ হওয়ার প্রস্তাবে রাজি না হলে তাঁদের অ্যাসিড হামলার হুমকি, শ্লীলতাহানি, এমনকি ধর্ষণের মতো জঘন্য কাজ করতেন মনোজিৎ। নারী নির্যাতনের বাইরেও মনোজিৎ নিয়মিত প্রতিপক্ষের উপর হামলা, পুলিশ ভ্যান ভাঙচুর ও সাধারণ মানুষকে মারধর করতেন। প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে এত কুকীর্তির পরেও মনোজিৎ এতদিন ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন? কোন প্রভাবশালী নেতার ছত্রছায়ায় তিনি এসব করতেন, তার গভীরে যেতে চাইছে সিট। মনোজিতের কল ডিটেইলস রেকর্ড (সিডিআর) খতিয়ে দেখে ইতিমধ্যেই এক প্রভাবশালী ‘দাদা’-র সন্ধান মিলেছে।

তৃণমূলের অন্দরের খবর, দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ছবি তুলে সেই প্রভাবকে ব্যবহার করতেন মনোজিৎ। দক্ষিণ কলকাতার এক ছাত্র-যুব নেতাকে তিনি মেন্টর মানতেন। এছাড়াও ছাত্র রাজনীতি থেকে মূল স্রোতে আসতে আগ্রহী এক নেতা ও এক প্রবীণ নেতার ‘স্নেহাশ্রয়’ পেতেন তিনি। অভিযোগ, এই প্রভাবশালী ত্রয়ীর মদতেই আলিপুর আদালতের এই আইনজীবী বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন। আলিপুর আদালতের আইনজীবীদের একটি অংশের অভিযোগ, সম্প্রতি কসবা থানার ‘আইনজীবী’ হওয়ার জন্য মনোজিতের নাম সুপারিশ করেছিল প্রভাবশালী একটি পক্ষ। আজ, আলিপুর আদালতে বিজেপিপন্থী আইনজীবীরা মনোজিতের লাইসেন্স বাতিল এবং তার হয়ে কোনো আইনজীবী যাতে সওয়াল না করেন, সেই দাবিতে মিছিল করেন। তবে মনোজিতের হয়ে ওকালতনামায় স্বাক্ষর করেছেন ৫০ জন আইনজীবী। রাজ্য সরকার এই মামলায় বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি হিসেবে বিভাস চট্টোপাধ্যায়কে নিয়োগ করেছে। আজ বার অ্যাসোসিয়েশনের জরুরি বৈঠকে মনোজিতের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা স্থির হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *