থাইল্যান্ডে ফোন কল ফাঁস, প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করল আদালত

থাইল্যান্ডে ফোন কল ফাঁস, প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করল আদালত

থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত পাইতংটার্ন সিনাওয়াত্রাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত করেছে। তার বিরুদ্ধে ফোন কলে নিজের দেশের মানুষের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে।

পুরো মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সিনাওয়াত্রা প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসতে পারবেন না। একটি আবেদনের ভিত্তিতে আদালত এই রায় দিয়েছে।

সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের খবর অনুযায়ী, থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত প্রধানমন্ত্রীর আচরণকে ভুল বলে মনে করেছে। আদালত বলেছে যে সিনাওয়াত্রা যেভাবে নিজের দেশের মানুষের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন, তা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে।

১৫ দিন কঠিন, বাবার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা সম্ভব

সিনাওয়াত্রার জন্য আগামী ১৫ দিন কঠিন। কারণ, আদালত তদন্ত সংস্থাকে ১৫ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে। এই প্রতিবেদনের পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, সিনাওয়াত্রার বাবা, যিনি পূর্বে দেশের প্রধান ছিলেন, তার বিরুদ্ধেও মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। সিনাওয়াত্রার বাবার বিরুদ্ধে রাজতন্ত্রের মাধ্যমে মানুষকে দমন করার অভিযোগ রয়েছে। এই মামলাটি ২০১৬ সালের।

প্রধানমন্ত্রীর ফোন কলে কী ছিল?

সিএনএন-এর খবর অনুযায়ী, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী তার শত্রু রাষ্ট্র কম্বোডিয়ার সিনেট প্রধান হুন সেনকে ফোন করেছিলেন। এই ফোন কলে সিনাওয়াত্রা কম্বোডিয়ার সিনেট প্রধানকে ‘আঙ্কেল’ বলে সম্বোধন করেন।

ফোনে সিনাওয়াত্রা বলেন, যে জেনারেল বর্তমানে কম্বোডিয়া সীমান্তে মোতায়েন আছেন, তিনি আমার শত্রু। তাই কম্বোডিয়ার সঙ্গে বিবাদ হচ্ছে। আসলে, থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়ার মধ্যে সম্প্রতি সীমান্ত বিরোধ গভীর হয়েছে।

এই ফোন ফাঁস থাইল্যান্ডের নীরব রাজনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। দ্রুত সিনাওয়াত্রা ক্ষমা চেয়েছিলেন, কিন্তু ততক্ষণে বিষয়টি আদালতে পৌঁছে গিয়েছিল। এখন আদালত এটিকে নৈতিকতার পরিপন্থী বলে মনে করেছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *