ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার পর কি নিখোঁজ আমেরিকার B-2 বোমারু বিমান? রহস্য ঘেরা ৩৬ ঘণ্টার উড়ান!

ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার পর কি নিখোঁজ আমেরিকার B-2 বোমারু বিমান? রহস্য ঘেরা ৩৬ ঘণ্টার উড়ান!

সম্প্রতি ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’-এর মাধ্যমে আমেরিকা ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্র – নাতাঞ্জ, ইসফাহান এবং ফোর্দো – ধ্বংস করার দাবি করেছে। এই হামলার পর থেকেই আমেরিকার B-2 বোমারু বিমান বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে। আমেরিকা দাবি করেছিল যে তাদের সমস্ত যুদ্ধবিমান ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলি ধ্বংস করে নিরাপদে ফিরে এসেছে। তবে, সম্প্রতি একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি B-2 বোমারু বিমান নিখোঁজ রয়েছে, যা বিশ্বজুড়ে নতুন করে জল্পনার সৃষ্টি করেছে।

ইউরেশিয়ান টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২১ তারিখে মিসৌরির হোয়াইটম্যান এয়ার ফোর্স বেস থেকে B-2 বোমারু বিমানের দুটি দল উড়েছিল। এর মধ্যে একটি দল প্রশান্ত মহাসাগরের উপর দিয়ে পশ্চিম দিকে এগিয়ে যায়, অন্য দলটি সাতটি B-2 বোমারু বিমান নিয়ে পূর্ব দিকে উড়ে ইরানের ফোর্দো এবং নাতাঞ্জ পরমাণু স্থাপনাগুলিতে নির্ভুল হামলা চালায়। পশ্চিম দিকে যাওয়া দলটি থেকে একটি B-2 বোমারু বিমান নিখোঁজ রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুসারে, একটি B-2 বোমারু বিমান হনোলুলুর ড্যানিয়েল কে. ইনোয়ে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেছিল এবং তারপর থেকে সেটি সেখানেই রাখা হয়েছে। প্রাক্তন পাইলট ডেভিড মার্টিন ‘এক্স’-এ একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন, যেখানে তিনি দাবি করেছেন যে এটি মার্কিন B-2 বোমারু বিমান। এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় আসার পর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে যে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে এটিকে গোপনে রাখা হয়েছে। তবে, এই রিপোর্টগুলো নিয়ে আমেরিকা কোনো পরিষ্কার ব্যাখ্যা দেয়নি। B-2 বোমারু বিমানটি প্রায় ৩৭ ঘণ্টা ধরে একটানা উড়েছিল এবং মাঝ আকাশে বেশ কয়েকবার জ্বালানি ভরেছিল। ফোর্দো এবং নাতাঞ্জ সাইটে B-2 বোমারু বিমানটি ৩০ হাজার পাউন্ডের (১৪ হাজার কেজি) বেশি ১২টিরও বেশি GBU-57 বোমা ফেলেছিল। ইসফাহান এবং নাতাঞ্জে ৩০টি টমাহক ক্রুজ মিসাইলও নিক্ষেপ করা হয়েছিল।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *