মোদি সরকারের নতুন প্রকল্প খুলে দেবে চাকরির দরজা! সাড়ে ৩ কোটি তরুণ পাবে কাজের সুযোগ!

দেশে বেকারত্বের সঙ্গে লড়াই করা তরুণদের জন্য কেন্দ্র সরকার এক বড় সুসংবাদ ঘোষণা করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে একটি যুগান্তকারী প্রকল্প ‘এমপ্লয়মেন্ট লিঙ্কড ইনসেনটিভ (ELI) স্কিম’-কে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো দেশে বড় আকারে কর্মসংস্থান তৈরি করা এবং প্রথমবারের মতো চাকরি পাওয়া তরুণদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা।
২ বছরে সাড়ে ৩ কোটি কর্মসংস্থানের লক্ষ্য
ELI প্রকল্পের আওতায় সরকারের লক্ষ্য আগামী দুই বছরে সাড়ে ৩ কোটি তরুণকে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া। এই মিশনের জন্য সরকার ১ লক্ষ কোটি টাকার বিশাল বাজেটও নির্ধারণ করেছে।
প্রথমবারের চাকরিপ্রার্থীদের জন্য বিশেষ সুবিধা
এই প্রকল্পের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো, যে সকল তরুণ প্রথমবার চাকরি করছেন, তাঁদের সরকার আর্থিক সহায়তা দেবে।
ভর্তুকির পরিমাণ: সর্বোচ্চ ₹১৫,০০০ টাকা
কিস্তি:
প্রথম কিস্তি: নিয়োগের ৬ মাস পর
দ্বিতীয় কিস্তি: ১২ মাস পর
এই অর্থ সরাসরি কো ম্পা নিকে দেওয়া হবে, যাতে তারা নতুন কর্মী নিয়োগে উৎসাহিত হয়।
ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরে বিশেষ গুরুত্ব
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন যে ELI প্রকল্পের অধীনে ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরকে বিশেষভাবে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এর উদ্দেশ্য হলো এই সেক্টরে সর্বোচ্চ কর্মসংস্থান তৈরি করা। এর পাশাপাশি, যদি কোনো কো ম্পা নি কোনো কর্মীকে টানা ২ বছর চাকরিতে বজায় রাখে, তাহলে সরকার কো ম্পা নিকে প্রতি কর্মীর জন্য প্রতি মাসে ₹৩,০০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত আর্থিক সহায়তাও দেবে।
ELI প্রকল্প কেন বিশেষ?
প্রথমবার চাকরি খুঁজছেন এমন তরুণরা সরাসরি লাভবান হবেন।
নতুন প্রার্থী নিয়োগের জন্য কো ম্পা নিগুলো উৎসাহ পাবে।
দেশে কর্মসংস্থান এবং সামাজিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে।
ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টর নতুন শক্তি পাবে।
অভিজ্ঞতার অভাবে ভুগছেন এমন তরুণরা ভালো সুযোগ পাবেন।
মন্ত্রিসভার অন্যান্য সিদ্ধান্ত
ELI প্রকল্পের পাশাপাশি মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে:
RDI প্রকল্প (গবেষণা, উন্নয়ন এবং উদ্ভাবন): বেসরকারি কো ম্পা নিগুলোকে উদীয়মান ক্ষেত্রগুলোতে গবেষণা ও উদ্ভাবনের জন্য উৎসাহ প্রদান।
তামিলনাড়ুতে পরিকাঠামো উন্নয়ন: পরমকুডি-রামনাথপুরম হাইওয়েকে ৪ লেনে উন্নীত করার অনুমোদন (৪৬.৭ কিমি), যা আঞ্চলিক উন্নয়নে গতি আনবে।