কাতার-তুর্কি নয়, ইরানের পরমাণু চুক্তি করাবেন ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ! ভ্লাদিমির পুতিনের বড় চাল

কাতার-তুর্কি নয়, ইরানের পরমাণু চুক্তি করাবেন ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ! ভ্লাদিমির পুতিনের বড় চাল

ইরানের পরমাণু চুক্তি কাতার বা তুর্কি নয়, ইউরোপের শক্তিশালী নেতাদের মধ্যে গণ্য ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সম্পন্ন করবেন। এর জন্য রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি পুতিন তাকে প্রস্তুত করেছেন। আড়াই বছরের মধ্যে এই প্রথম দুই নেতার মধ্যে ফোনে কথা হয়েছে। দুই নেতা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পাশাপাশি ইসরায়েল ও ইরানের যুদ্ধবিরতি এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি নিয়ে আলোচনা করেছেন।

ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ পুতিনের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রথমেই ইউক্রেন যুদ্ধ যত দ্রুত সম্ভব বন্ধ করার কথা বলেছেন। ক্রেমলিন এই আলোচনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। ক্রেমলিনের মতে, ম্যাক্রোঁর এই কথার জবাবে পুতিন বলেছেন, এই সংঘাতের জন্য পশ্চিমা দেশগুলোই দায়ী। পুতিন আরও বলেন, যদি কোনো শান্তি চুক্তি হয়, তবে তা দীর্ঘস্থায়ী হওয়া উচিত।

দুই ঘণ্টা ধরে আলোচনা, ইরান ইস্যুতে কথা

ফরাসি রাষ্ট্রপতি ম্যাক্রোঁ জানিয়েছেন, পুতিনের সঙ্গে তার আলোচনা দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলেছে। তারা ইউক্রেন ও ইরান ইস্যুতে আরও বেশি যোগাযোগ বজায় রাখতে সম্মত হয়েছেন। প্রথমে ম্যাক্রোঁ ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি ফ্রান্সের অবিচল সমর্থনের ওপর জোর দেন এবং সংঘাতের স্থায়ী সমাধানের জন্য যুদ্ধবিরতি আলোচনা শুরু করার আহ্বান জানান। এরপর পুতিন ম্যাক্রোঁকে ইরান ইস্যুতেও একই কাজ করার জন্য রাজি করান।

ইরান ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করবে ফ্রান্স-রাশিয়া

ফ্রান্সের পক্ষ থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরান ইস্যুতে দুই দেশের রাষ্ট্রপতিরা সমন্বয় করে এবং দ্রুত একসঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর আগেও ম্যাক্রোঁ ইরানকে তাদের পরমাণু কর্মসূচিতে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে এনে উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

পরমাণু ইস্যুতে ফ্রান্স সাহায্য করবে

ফ্রান্সের পক্ষ থেকে জারি করা বিবৃতিতে ইরানের পারমাণবিক বিস্তার রোধ চুক্তির অধীনে তাদের বাধ্যবাধকতা পালনের জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (IAEA)-এর সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতার মাধ্যমে। ম্যাক্রোঁর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে IAEA পরিদর্শকদের বিনা বিলম্বে কাজ শুরু করতে দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, এই ইস্যুতে কূটনৈতিক সমাধান খুঁজতে ফ্রান্স ইরানকে সাহায্য করবে, যাতে পরমাণু সমস্যার পাশাপাশি ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রশ্ন এবং মধ্যপ্রাচ্যে তার ভূমিকার স্থায়ী সমাধান হতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *