মেয়ের গোপন অঙ্গে বোতল প্রবেশ, দুই দিন পর অস্ত্রোপচার ছাড়াই বের করলেন চিকিৎসকরা

একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা সিগমায়েডোস্কোপির সাহায্যে অস্ত্রোপচার ছাড়াই এক তরুণীর অন্ত্রে আটকে থাকা ময়েশ্চারাইজারের বোতল বের করেছেন। ২৭ বছর বয়সী ওই তরুণী যৌন কৌতূহলের কারণে বোতলটি তাঁর গোপন অঙ্গে ঢুকিয়েছিলেন, যা সেখানে আটকে যায়।
এই ঘটনার পর ওই তরুণীর পেটে ব্যথা এবং দুই দিন ধরে মলত্যাগে সমস্যা হয়। তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর তরুণী জানান, যৌন তৃপ্তির জন্য তিনি দুই দিন আগে একটি ময়েশ্চারাইজার বোতল নিজের গোপন অঙ্গে ঢুকিয়েছিলেন।
তরুণী প্রথমে তাঁর নিকটবর্তী হাসপাতালে গিয়েছিলেন, যেখানে চিকিৎসকরা বোতলটি বের করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। এরপর তাঁর পেটের এক্স-রে করা হয়, যেখানে দেখা যায় বোতলটি গোপন অঙ্গের উপরের অংশে আটকে আছে। তরুণীর গুরুতর অবস্থা এবং অন্ত্র ফেটে যাওয়ার আশঙ্কার কারণে তাঁকে দ্রুত রাতে অস্ত্রোপচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
অস্ত্রোপচার দলে ছিলেন ডাঃ তরুণ মিত্তল, ডাঃ আশীষ দে, ডাঃ অনমোল আহুজা, ডাঃ শ্রেয়াস মাঙ্গলিক এবং অ্যানেস্থেটিস্ট ডাঃ প্রশান্ত আগরওয়াল। সিগমায়েডোস্কোপির সাহায্যে বোতলটি সফলভাবে বের করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় পেট বা অন্ত্র কাটতে হয়নি, যার ফলে রোগীর ব্যথা কম হয়েছে এবং দ্রুত আরোগ্য লাভ সম্ভব হয়েছে।
পুরো বোতলটি নিরাপদে বের করে আনা হয় এবং রোগীর অবস্থার উন্নতি হলে পরের দিন তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়। ডাঃ অনমোল আহুজা বলেন, এমন পরিস্থিতিতে সময় নষ্ট না করে দ্রুত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা জরুরি। এতে অন্ত্র ফেটে যাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তিনি জানান, এন্ডোস্কোপি, সিগমায়েডোস্কোপি এবং ল্যাপারোস্কোপির মতো ন্যূনতম আক্রমণাত্মক কৌশল দিয়ে নিরাপদে এগুলোর চিকিৎসা করা যেতে পারে।
ডাঃ তরুণ মিত্তল জানান, প্রায়শই এমন রোগীরা একাকীত্ব অনুভব করেন এবং চিকিৎসার সময় এই দিকটির প্রতিও মনোযোগ দেওয়া উচিত। এমন রোগীরা যদি মানসিক রোগে আক্রান্ত হন, তবে তাঁদের কাউন্সেলিং করা যেতে পারে।