আলিগড়ে রহস্যময় পোকার আতঙ্কে একজন নিহত; কামড়ানোর পরই অদৃশ্য হয়ে যায়, গ্রামে স্বাস্থ্য বিভাগের দল

আলিগড়ে রহস্যময় পোকার আতঙ্কে একজন নিহত; কামড়ানোর পরই অদৃশ্য হয়ে যায়, গ্রামে স্বাস্থ্য বিভাগের দল

অদৃশ্য বিষাক্ত পোকা: আলিগড়ে একটি রহস্যময় অদৃশ্য পোকা নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় প্রতিবেদন অনুসারে, এটি একটি বিষাক্ত পোকা, যার কামড়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে।

এছাড়াও ২০ জনেরও বেশি মানুষ আহত বলে জানা গেছে। আহতদের বক্তব্য, এই পোকা কামড়ানোর পরই অদৃশ্য হয়ে যায়, কাউকে দেখা যায় না। কামড়ানোর পরপরই তীব্র জ্বালাপোড়া, ফোলা এবং মাথা ঘোরার মতো প্রাথমিক লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। স্থানীয় ডাক্তারদের মতে, এটি কোনো অজানা পোকার বিষাক্ত কামড় হতে পারে, যা থেকে অ্যালার্জি বা টক্সিক শক-এর মতো প্রতিক্রিয়া হচ্ছে।

প্রাথমিক চিকিৎসায় অ্যান্টিহিস্টামিন এবং ব্যথানাশক দেওয়া হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কোনো নির্দিষ্ট পোকারS পরিচয় জানা যায়নি। তবে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ এ বিষয়ে সতর্ক হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের দল গ্রামে পৌঁছেছে, এলাকায় ফগিং ও কীটনাশক স্প্রে করা শুরু হয়েছে। একই সাথে আক্রান্ত পরিবারগুলোর উপর নজর রাখা হচ্ছে।

রহস্যময় পোকার কারণে গ্রামে ভয়ের পরিবেশ

গ্রামবাসীরা বলছেন, তারা এখন বাচ্চাদের বাড়ির বাইরে যেতে দিচ্ছেন না। প্রশাসন কাছে ২৪ ঘন্টা চিকিৎসা সহায়তা ও পর্যবেক্ষণের দাবি জানানো হয়েছে। আপাতত এই রহস্যময় পোকাটির আসল পরিচয় কী, তা তদন্তের পরেই স্পষ্ট হবে। তবে আলিগড়ের এই গ্রামে ভয়ের পরিবেশ আরও গভীর হচ্ছে।

কখন, কীভাবে কামড়ায়? কেমন দেখতে, কেউ জানে না

স্থানীয় প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত রবিবার (২৯ জুন) আরও এক কিশোরীকে পোকাটি কামড়েছে। প্রায় ১০-১২ দিন আগে একই সন্দেহভাজন পোকার কামড়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছিল। মৃত মহিলার নাম মীরা দেবী (৪৫)। পোকা কামড়ানোর পর তার দ্রুত অবস্থার অবনতি হয়। পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রুত আগ্রা রোডের দুটি নার্সিং হোমে নিয়ে যান, যেখানে সাপের কামড়ের সম্ভাবনা বাতিল করা হয়।

চিকিৎসা সত্ত্বেও মীরা দেবীর মৃত্যু হয়। আরও তিনজন এই পোকার শিকার হয়েছেন, যাদের দ্রুত জেলা হাসপাতাল এবং একটি বেসরকারি মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তাদের অবস্থার উপর নজর রাখা হচ্ছে। স্থানীয় গ্রামবাসীরা বলছেন যে পোকাটি এখনও পর্যন্ত কারও নজরে আসেনি, যার ফলে এর পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *