বসকে খুশি করতে ১২-১২ ঘণ্টা কাজ করছেন? এই রোগগুলোকে বিনামূল্যে প্রবেশ করাচ্ছেন, হাসপাতালের চক্কর কাটতে হবে!

অফিসে মাঝে মাঝে কাজের সূত্রে দেরিতে থাকা স্বাভাবিক, কিন্তু যদি আপনি দীর্ঘ দিন ধরে এমনটা করেন এবং ল্যাপটপে আটকে থাকার অভ্যাস তৈরি করে ফেলেন, তাহলে এটি আপনাকে বিপদে ফেলতে পারে। অনেক জায়গায় বসরাও তাদের কর্মীদের দেরিতে কাজ করতে বলেন, যার ফলে তাদের মানসিক ও শারীরিক চাপ বাড়ে।
কী কী সমস্যা হতে পারে?
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের একটি গবেষণা অনুসারে, যারা সপ্তাহে ৪৯ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন, তাদের মধ্যে মাস্কড হাইপারটেনশনের ঝুঁকি ৭০ শতাংশ এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি ৬৬ শতাংশ বেশি থাকে। এর ফলে মানসিক চাপ, ঘুমের সমস্যা ইত্যাদির সম্মুখীন হতে হয়, যা রক্তচাপ বাড়ানোর কাজ করে এবং হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপ কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন?
প্রথমত, আপনাকে মানসিক চাপ কমানোর জন্য আপনার কাজের সময় (Working Hours) পরিচালনা করতে হবে। একই সাথে, হাইপারটেনশন জার্নাল অনুসারে, আপনার বডি মাস ইনডেক্স (BMI) নিয়মিত পরীক্ষা করুন। ১৮.৫ থেকে ২৪.৯-এর মধ্যে BMI স্বাভাবিক বলে মনে করা হয়, কিন্তু যদি এটি ২৫-২৯.৯-এর মধ্যে হয়, তাহলে আপনার ওজন বেশি, যা রক্তচাপ বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।
আপনার হৃদয়ের যত্ন নিন
খাদ্য মানে শুধু খাওয়া বা কিছু খেয়ে পেট ভরানো নয়। ভালো এবং স্বাস্থ্যকর খাবার কোলেস্টেরল, রক্তচাপ এবং প্রদাহ কমাতে পারে। এর জন্য DASH ডায়েট অনুসরণ করুন, যার মধ্যে রয়েছে আস্ত শস্য, তাজা ফল ও সবজি, বাদাম ও বীজ এবং কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য। এছাড়াও খাদ্যতালিকায় পালং শাক, অ্যাভোকাডো, বাদাম এবং ফ্ল্যাক্স সিডের মতো জিনিস অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করুন এবং ব্যায়াম করুন
শারীরিকভাবে নিজেকে সক্রিয় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এর জন্য ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশন প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট সাধারণ অ্যারোবিক্স করার পরামর্শ দেয়। এছাড়াও, অ্যালকোহল বা ধূমপান উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়াতে পারে এবং হৃদপিণ্ডের অনেক ক্ষতি করে।