সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে পাকিস্তানের এই অস্ত্রগুলি! কিছু আমেরিকান অস্ত্রের চেয়েও উন্নত

পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। অপারেশন সিন্দুরেও ভারত পাকিস্তানকে কড়া জবাব দিয়েছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চেও সন্ত্রাসের ইস্যুতে পাকিস্তানের ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে।
প্রথম থেকেই পাকিস্তান নিজ দেশে সন্ত্রাসবাদকে আশ্রয় দিয়ে আসছে। বিশ্বকে দেখানোর জন্য কেবল ভান করে এবং কান্নাকাটি করে, তারপর ভিক্ষার থালা নিয়ে বেরিয়ে পড়ে।
যদি ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক ও পারমাণবিক সক্ষমতার তুলনা করা হয়, তবে উভয় দেশের কাছেই আধুনিক অস্ত্র ব্যবস্থা এবং পারমাণবিক অস্ত্রাগার রয়েছে। যদিও পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতা ভারতের সামনে দাঁড়াতেই পারে না, তবে কিছু অস্ত্র আছে যার জবাব ভারত এখনও খুঁজে চলেছে।
পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রাগার
পাকিস্তানের কাছে নাসর (হাতফ-৯) এর মতো স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যার পাল্লা ৭০ কিলোমিটার এবং এটি কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে সক্ষম। এই অস্ত্রগুলো ভারতের ‘কোল্ড স্টার্ট’ কৌশল, অর্থাৎ সীমান্ত পেরিয়ে দ্রুত আক্রমণের জবাব দেওয়ার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
ভারতের কাছে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের কোনো জবাব নেই, কারণ ভারতের পারমাণবিক নীতি ‘নো ফার্স্ট ইউজ’ (NFU) এবং ব্যাপক পাল্টা আক্রমণের উপর নির্ভরশীল। পাকিস্তানের এই ক্ষমতা ভারতের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে, কারণ ভারতের S-400 ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্বল্প-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র আটকাতে সম্পূর্ণ কার্যকর নাও হতে পারে।
ভারতের জন্য হুমকি পাকিস্তানের এই বিমানগুলো
সম্প্রতি পাকিস্তান চীন থেকে J-10C ফাইটার জেট অর্জন করেছে, যা উন্নত রাডার এবং PL-15 এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল দ্বারা সজ্জিত। PL-15 এর পাল্লা ৯০ মাইল অর্থাৎ প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার বা তারও বেশি, যা ভারতের কাছে থাকা AIM-120 AMRAAM মিসাইলের চেয়ে বেশি পাল্লার।
এছাড়াও, ভারত-পাকিস্তান সামরিক সংঘাতের সময় J-10C ভারতীয় রাফায়েল জেটগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল। ভারতের কাছে রাফায়েল এবং মিরাজ-২০০০-এর মতো চমৎকার ফাইটার জেট রয়েছে, কিন্তু PL-15-এর দীর্ঘ পাল্লা ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা কৌশলকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে।
বাইদু নেভিগেশন সিস্টেম
পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ‘চোখ’ বলে পরিচিত চীনের বাইদু নেভিগেশন সিস্টেম বিশ্বের সেরা নেভিগেশন প্রযুক্তিগুলোর মধ্যে অন্যতম। বাইদু নেভিগেশন সিস্টেম চীনের নিজস্ব জিপিএস, যা আমেরিকার জিপিএস, রাশিয়ার গ্লোনাস এবং ইউরোপের গ্যালিলিওর মতো কাজ করে। এই সিস্টেমটি ২০২০ সালে সম্পূর্ণরূপে চালু হয় এবং বলা হয় যে এটি ১০০ গুণ বেশি সঠিক তথ্য সরবরাহ করে।
পাকিস্তান বিশ্বের প্রথম দেশ যার কাছে বাইদু সিস্টেমের সামরিক স্তরের প্রবেশাধিকার আছে। বাইদু নেভিগেশন সিস্টেম তিনটি কক্ষপথে (GEO, IGSO, MEO) কাজ করে। এটি অস্ত্রশস্ত্রকে সঠিকভাবে লক্ষ্যবস্তু করতে এবং তথ্য আদান-প্রদানে সহায়তা করে। এই সিস্টেমটি আমেরিকান জিপিএস-এর উপর পাকিস্তানের নির্ভরতা কমায়, যার ফলে ডেটা ম্যানিপুলেশনের ঝুঁকি কমে।
পাকিস্তান পেতে চলেছে J-35A
পাকিস্তান চীন থেকে পঞ্চম প্রজন্মের স্টিলথ ফাইটার জেট J-35A পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তান ৪০টি J-35A জেট বিমান কেনার অনুমোদন দিয়েছে, যার ডেলিভারি ২০২৫ সালের শেষ বা ২০২৬ সালের শুরুতে শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি হবে চীনের পঞ্চম প্রজন্মের ফাইটার জেটের প্রথম রফতানি, যা ভারতের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ প্রমাণ হবে। ভারতের কাছে এখনও ৪.৫ প্রজন্মের রাফায়েল বিমান রয়েছে, কিন্তু পঞ্চম প্রজন্মের কোনো ফাইটার জেট নেই। ভারত এই প্রযুক্তিতে মার্ক-১ এবং মার্ক-২ তৈরি করছে, তবে এতে সময় লাগবে।