ইয়াজিদিদের উপর আইএসআইএস-এর নৃশংসতা, জীবন্ত কবর থেকে খাঁচায় পোড়ানো!

ইয়াজিদি গণহত্যার ভয়াবহতা
২০১৪ সালের আগস্ট থেকে ইরাকের সিনজারে ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের উপর ইসলামিক স্টেট (আইএসআইএস) নৃশংস নির্যাতন চালিয়েছে, যা জাতিসংঘ গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। হাজার হাজার ইয়াজিদি নারী ও শিশুকে অপহরণ করে যৌন দাসত্বে বাধ্য করা হয়, পুরুষদের হত্যা করা হয়, এবং গ্রাম ধ্বংস করা হয়। ড. মালাউফের সাম্প্রতিক দাবি—বৃদ্ধা নারীদের জীবন্ত কবর দেওয়া, মায়েদের তাদের শিশু খেতে বাধ্য করা, এবং ছোট মেয়েদের খাঁচায় পুড়িয়ে হত্যা—ভয়াবহ হলেও, এর কিছু বিবরণ, যেমন শিশু খাওয়ানোর দাবি, সরকারি প্রতিবেদনে ব্যাপকভাবে নথিভুক্ত নয়। তবে, গণকবর, পদ্ধতিগত ধর্ষণ, এবং খাঁচায় পোড়ানোর মতো নৃশংসতা প্রমাণিত। আইএসআইএস-এর প্রচারণামূলক ভিডিওতে বন্দীদের প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ডের দৃশ্য ফুটে উঠেছে, যা ভয় সৃষ্টির উদ্দেশ্যে করা হয়। দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ:
বিশ্বের নীরবতা ও গাজার তুলনা
ইয়াজিদি গণহত্যায় ২,১০০ থেকে ৪,৪০০ মানুষ নিহত এবং ৪,২০০ থেকে ১০,৮০০ জন অপহৃত হয়, অধিকাংশই নারী ও শিশু। বেঁচে যাওয়ারা সিনজার পর্বতে পালিয়ে গেলেও অনাহার ও জলশূন্যতায় ভুগেছেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্ধার প্রচেষ্টা সীমিত ছিল, এবং বিচার প্রক্রিয়া ধীর। বিপরীতে, গাজার সংঘাত ব্যাপক মিডিয়া কভারেজ ও বিক্ষোভের জন্ম দিয়েছে, যা রাজনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক জটিলতার কারণে। ইয়াজিদিরা, একটি ছোট ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিসেবে, পর্যাপ্ত আন্তর্জাতিক সমর্থন পায়নি। এই বৈষম্য এবং জবাবদিহিতার অভাব ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের হতাশাকে বাড়িয়েছে, যারা এখনও শিবিরে বাস্তুচ্যুত জীবনযাপন করছে।
What Islamists did to Yazidis in Iraq was so much worse than what’s happening in Gaza.
— Dr. Maalouf (@realMaalouf) July 3, 2025
Elderly women buried alive for being too old to be sex slaves.
Mothers forced to eat their own babies.
Young girls locked in iron cages and burned to death.
Yet not a single protest!… pic.twitter.com/jp3nuchlX9