ইজরায়েলের বাঙ্কার ছেড়ে নেতার পুত্রের ‘নিরাপদ আস্তানা’ যুক্তরাজ্যে!

ইরান-ইজরায়েলের মধ্যে ১২ দিনের যুদ্ধে ইজরায়েলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ইজরায়েলি হামলার জবাবে ইরান তাদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের বর্ষণ করে ইজরায়েলি শহরগুলোতে। এর ফলে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী সহ সাধারণ জনগণ এবং নেতারাও বাঙ্কারে থাকতে বাধ্য হন। ইরানের আক্রমণ শুরু হতেই ইজরায়েলের মানুষ দেশ ছাড়তে শুরু করে এবং বিমানবন্দরে ব্যাপক ভিড় জমে যায়।
নেতার পুত্রের গোপন ডেরা
ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর পুত্র ইতিমধ্যেই দেশের বাইরে নিজের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে নিয়েছেন। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ছেলে ২০২২ সালে চুপচাপ যুক্তরাজ্যে একটি আলাদা নামে অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন। ইজরায়েলের ব্যবসা ও অর্থনীতির সংবাদপত্র কেলকালিস্ট বুধবার জানিয়েছে যে, আভনের নেতানিয়াহু ২০২২ সালের অক্টোবরে অক্সফোর্ডে ৬৮০,০০০ ডলারের একটি অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন।
সংবাদপত্রটির মতে, নেতানিয়াহু অ্যাপার্টমেন্টের জন্য ঠিক ১.৯৮ মিলিয়ন শেকেল (ইসরায়েলি মুদ্রা) পরিশোধ করেছেন, যা ২ মিলিয়ন শেকেলের বিদেশী সম্পত্তি রিপোর্টিং সীমার সামান্য কম। কেলকালিস্টের রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, যদি এই অ্যাপার্টমেন্টটি ট্রাসের মিনি-বাজেটের মাত্র ১০ দিন আগে বা পরে কেনা হতো, তাহলে এর মূল্য ২ মিলিয়ন শেকেলের বেশি হতো, যার জন্য ইজরায়েলি কর কর্তৃপক্ষকে বিদেশী সম্পত্তির তথ্য জানাতে হতো।
যুক্তরাজ্যের ভূমি রেজিস্ট্রি ওয়েবসাইটের বরাত দিয়ে কেলকালিস্ট আরও জানিয়েছে যে, নেতানিয়াহু ‘এভি আভনের সেগাল’ নামে এই বাড়িটি কিনেছেন। এটি একটি আইনি উপনাম যা আভনের তার দাদীর প্রথম নামের উপর ভিত্তি করে গ্রহণ করেছিলেন।
আভনের নেতানিয়াহু এই কেনাকাটার বিষয়ে কেলকালিস্টকে বলেছেন যে, নাম পরিবর্তন আইনি ছিল এবং এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে নিবন্ধিত। তিনি বলেন, “আমি ইজরায়েলের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আমার আইডি কার্ডে আমার নাম পরিবর্তন করেছি, এবং তারপর আমার পাসপোর্ট এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স পরিবর্তন করেছি। এটি একটি প্যাকেজ ডিল।”
রিপোর্টে বলা হয়েছে যে এই কেনাকাটা কোনো বেআইনি উপায়ে হয়নি। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বার্ষিক বেতন প্রায় ১৫০,০০০ ডলার।