৮২% সম্ভাবনা নিয়ে মহাপ্রলয়ের ইঙ্গিত! জাজল বাবা ভাঙার ভবিষ্যদ্বাণীর পর বিজ্ঞানীরা বলছেন – ‘এখন আর কেউ আটকাতে পারবে না!’

পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্পপ্রবণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম জাপান আবারও ভয়াবহ ভূমিকম্পের আশঙ্কায় ভুগছে। দেশটির ভূমিকম্প গবেষণা কমিটি এবং সরকারি প্যানেলগুলোর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনগুলো এই ঝুঁকির তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বিজ্ঞানীদের মতে, আগামী ৩০ বছরের মধ্যে জাপানে রিখটার স্কেলে ৭ বা তার বেশি তীব্রতার ভূমিকম্প আঘাত হানার সম্ভাবনা এখন ৮২%-এ পৌঁছেছে, যা পূর্বে ৭৫% ছিল।
নানকাই ট্রাফই ধ্বংসের কেন্দ্রবিন্দু
জাপানের জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে নানকাই ট্রাফ—একটি সাবডাকশন জোন, যেখানে ফিলিপাইন সি প্লেট ধীরে ধীরে জাপানের প্লেটের নিচে ঢুকে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা এই অঞ্চলে সূক্ষ্ম ভূমিকম্পীয় কার্যকলাপ এবং প্লেটগুলোর ক্রমাগত নড়াচড়া রেকর্ড করেছেন। এই গতিবিধি প্রতিদিন কয়েক মিলিমিটার হারে মাটিতে ফাটল তৈরি করছে, যা ভবিষ্যতে যেকোনো সময় একটি ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্প ঘটাতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, যদি এই ভূমিকম্প আসে, তাহলে ২০১১ সালের সুনামির চেয়েও তিনগুণ বেশি বড় ঢেউ উঠতে পারে, যা দেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করবে।
রহস্যময় ভবিষ্যদ্বাণী আবারও আলোচনার কেন্দ্রে
জাপানে আবারও ভবিষ্যদ্বক্তা রিও তাতসুকি-এর ভবিষ্যদ্বাণী শিরোনামে এসেছে, যাকে মানুষ এখন ‘জাজল বাবা ভাঙা’ নামেও চিনতে শুরু করেছে। তাতসুকি আগেই সতর্ক করেছিলেন যে, জাপান এবং ফিলিপাইনের মধ্যে সমুদ্রতলে একটি বিশাল ফাটল তৈরি হবে, যার ফলে একটি বড় ভূমিকম্প এবং ধ্বংসাত্মক সুনামি সৃষ্টি হবে। আশ্চর্যজনকভাবে, বিজ্ঞানীরা যে অস্থিরতা রেকর্ড করছেন তা ঠিক সেই অঞ্চলেই হচ্ছে, যেখানে তাতসুকি সতর্ক করেছিলেন। যদিও এই ভবিষ্যদ্বাণীগুলো বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয়, তবুও মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে।
সরকারের প্রস্তুতি সীমিত কার্যকর
জাপান সরকার ২০১৪ সালে একটি জাতীয় ভূমিকম্প নিরাপত্তা পরিকল্পনা শুরু করেছিল, যার উদ্দেশ্য ছিল দুর্যোগের সময় জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমানো। এই পরিকল্পনার অধীনে বাঁধ, আশ্রয় ভবন এবং সতর্কতা ব্যবস্থার মতো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে এই পরিকল্পনায় মৃত্যুহার ৮০% পর্যন্ত কমানোর আশা করা হয়েছিল, কিন্তু সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী এটি মাত্র ২০% পর্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত হচ্ছে।