যে আমেরিকা বিশ্বকে তাড়না করত সে কার দাস ছিল, কীভাবে সে পরাশক্তিতে পরিণত হল? জানুন

একসময় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনে থাকা আমেরিকা ৪ জুলাই, ১৭৭৬ সালে ১৩টি ব্রিটিশ উপনিবেশের স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্য দিয়ে মুক্ত হয়। এই দিনটি প্রতি বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালিত হয়। ক্রিস্টোফার কলম্বাস ভারত আবিষ্কারের লক্ষ্যে যাত্রা করে ভুলবশত আমেরিকায় পৌঁছান, যার ফলস্বরূপ ইউরোপীয় শক্তি, বিশেষ করে ব্রিটেনের, এই অঞ্চলের উপর দখল বৃদ্ধি পায় এবং স্থানীয় আমেরিকানদের উপর শোষণ শুরু হয়। এই শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে আমেরিকানরা স্বাধীনতার পথে পা বাড়ায়।
স্বাধীনতার পর আমেরিকা নিজেদের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি থেকে শিল্পভিত্তিক অর্থনীতিতে রূপান্তরিত করে। প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে মনোনিবেশ করে তারা বিশ্ব মঞ্চে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করে। ১৯১৮ সালের প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও ১৯৪৫ সালের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপীয় দেশগুলো যখন অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত, তখন আমেরিকার অর্থনীতি শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ডলারের স্থিতিশীলতা এবং আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে আমেরিকা অনেক দেশকে সাহায্য করে। ন্যাটো, জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থা গঠনে আমেরিকার অগ্রণী ভূমিকা তাকে একটি পরাশক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। স্নায়ুযুদ্ধের সময়ও বিশ্বজুড়ে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে আমেরিকা সামরিক ও প্রযুক্তিগত খাতে বিপুল বিনিয়োগ করে, যা তাদের বর্তমান বৈশ্বিক প্রভাবের মূল কারণ।