দীর্ঘ ৪ দশক পর ভয়ঙ্কর স্বীকারোক্তি! কিশোর বয়সে খুনের কথা জানিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ

প্রায় চার দশক ধরে এক গোপনীয়তা নিয়ে জীবন কাটাচ্ছিলেন মুহাম্মাদালি, যা শেষ পর্যন্ত আর গোপন রাখতে পারেননি তিনি। শুক্রবার মালাপুরম জেলার ভেঙ্গারা থানায় গিয়ে তিনি শান্তভাবে একটি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন, যা তিনি ১৯৮৬ সালে এক কিশোর বয়সে করেছিলেন বলে দাবি করেন। তিনি পুলিশকে জানান, সেই সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১৪ বছর এবং তিনি কোঝিকোড় জেলার থিরুভাম্বাদি পুলিশ থানা এলাকার কুডারানজি গ্রামের এক ব্যক্তি দেবাসিয়ার বাড়িতে কাজ করতেন।
মুহাম্মাদালির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, একদিন এক ব্যক্তি তাকে হেনস্থা করার চেষ্টা করলে আত্মরক্ষার্থে তিনি তাকে লাথি মারেন। লোকটি পাশের একটি খালে পড়ে যায় এবং আতঙ্কে কিশোর মুহাম্মাদালি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। দু’দিন পর ফিরে এসে দেখেন, লোকটি তখনও মৃত অবস্থায় জলেই পড়ে আছে। ভয়ে তিনি ঘটনাটি গোপন রাখেন। তখন পুলিশ এটিকে স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে ধরে নিয়েছিল এবং স্থানীয়রা জানিয়েছিল যে লোকটি মৃগীরোগী ছিল। কোনো পরিচয় না পাওয়ায় মামলাটি এক সময় চাপা পড়ে যায়। কিন্তু মুহাম্মাদালির মনে এই অপরাধের বোঝা সারাজীবন ছিল। পঞ্চাশোর্ধ্ব মুহাম্মাদালি জানান, সম্প্রতি তার জীবনে ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি (বড় ছেলের মৃত্যু এবং ছোট ছেলের গুরুতর দুর্ঘটনা) নেমে আসার পর এই অপরাধবোধ আরও তীব্র হয়, যার কারণে তিনি আর ঘুমাতে পারছিলেন না। এখন পুলিশ তার স্বীকারোক্তিকে গুরুত্ব সহকারে নিয়ে পুরনো ফাইল এবং সংবাদপত্রের প্রতিবেদন খতিয়ে দেখছে নিহত ব্যক্তির পরিচয় জানার জন্য।