অবিশ্বাস্য পরিবর্তন! ২০-এর কোঠাতেই কেন ডিম্বাণু সংরক্ষণে ঝুঁকছেন নারীরা

একসময় জরুরি প্রজনন চিকিৎসা হিসেবে পরিচিত হলেও, বর্তমানে ডিম্বাণু সংরক্ষণ ২০-এর দশকের নারীদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করছে। কর্মজীবনের চাহিদা, দেরিতে বিবাহ এবং মাতৃত্বের ধারণায় আসা পরিবর্তনের কারণে আগের চেয়ে অনেক বেশি সংখ্যক নারী তাঁদের ‘প্রজনন ঘড়ি’ আগেভাগেই ‘ব্যাংকে জমা’ রাখার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এর প্রধান কারণ হলো, প্রজনন ক্ষমতা যখন সর্বোত্তম পর্যায়ে থাকে, তখনই ডিম্বাণুর সর্বশ্রেষ্ঠ গুণগত মান নিশ্চিত করা।
প্রজনন বিশেষজ্ঞরা জোর দিয়ে বলছেন, ২০-এর দশকে সংগৃহীত ডিম্বাণু গুণগতভাবে উন্নত হয় এবং পরবর্তীতে সফল গর্ভধারণের সম্ভাবনা অনেক বাড়িয়ে তোলে। মাতৃত্বের আগে কর্মজীবন, ব্যক্তিগত বিকাশ বা আর্থিক নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়া এই পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান কারণ। পরিবর্তিত সামাজিক নিয়মকানুন নারীদের দেরিতে বিবাহ ও পরিবার পরিকল্পনা করতে উৎসাহিত করছে, যা তাঁদের মধ্যে ডিম্বাণু সংরক্ষণের মাধ্যমে এক ধরনের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার অনুভূতি এনে দিচ্ছে।