ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা, অন্য প্ল্যাটফর্ম থেকে বেরিয়ে গেল ট্রেন! ক্ষুব্ধ যাত্রীর রেলওয়েকে এমন ধাক্কা, হুলস্থুল কান্ড

গাজিয়াবাদ রেলওয়ে স্টেশনে একটি পরিবার ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্ল্যাটফর্মে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিল, কিন্তু ট্রেন কোনো ঘোষণা ছাড়াই অন্য প্ল্যাটফর্ম থেকে বেরিয়ে যায়। এর ফলে শুধু তাদের যাত্রা আসাম্পূর্ণই থাকেনি, বরং মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়েছে। তবে এবার বিষয়টি সহজে নিষ্পত্তি হয়নি। ক্ষুব্ধ যাত্রী রেলওয়ের এই অবহেলাকে কনজিউমার ফোরামে টেনে নিয়ে যান, যার ফলস্বরূপ রেলওয়েকে ৭,০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছে।
মুরাদনগরের বাসিন্দা অনুভব প্রজাপতি গাজিয়াবাদ কনজিউমার ফোরামে অভিযোগ দায়ের করেন যে, তিনি ২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি তার পরিবারের জন্য ছত্তিশগড় এক্সপ্রেসের টিকিট বুক করেছিলেন ঝাঁসি যাওয়ার জন্য। ট্রেনের সময় ছিল রাত ৩টা ২০ মিনিট। প্রজাপতি তার স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে নিয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই স্টেশনে পৌঁছে যান এবং ফার্স্ট ক্লাস ওয়েটিং রুমে অপেক্ষা করেন। স্টেশনে ঘোষণা করা হয় যে ট্রেন ৪০ মিনিট দেরিতে আসবে। এরপরে তারা প্ল্যাটফর্ম নম্বর ৩-এ চলে যান, যেখানে অযোধ্যা এক্সপ্রেস আগে থেকেই দাঁড়িয়ে ছিল। কিন্তু ছত্তিশগড় এক্সপ্রেস সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট তথ্য দেওয়া হয়নি।
প্রজাপতি চরম ভোগান্তির শিকার
প্রজাপতি স্টেশন মাস্টারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন, কিন্তু অফিস বন্ধ পান। তিনি ভোর ৫টা ২১ মিনিটে টুইট করে রেলওয়ে কর্মকর্তাদের ট্যাগ করেন, কিন্তু কোনো উত্তর পাননি। পরে জানা যায় যে, তাদের ট্রেন প্ল্যাটফর্ম নম্বর ২ থেকে ছেড়ে গেছে, অথচ তারা প্ল্যাটফর্ম ৩-এ অপেক্ষা করছিলেন। ক্ষুব্ধ প্রজাপতি গাজিয়াবাদ জেলা কনজিউমার ফোরামে অভিযোগ দায়ের করেন। শুনানির সময় ফোরাম জানায় যে, যাত্রীদের সময়মতো এবং স্পষ্ট তথ্য দেওয়া রেলওয়ের জন্য বাধ্যতামূলক। এটি করতে ব্যর্থ হলে সেবার ত্রুটি হিসেবে গণ্য হবে।
রেলওয়ে কী করল?
রেলওয়ের পক্ষ থেকে ফোরামে কোনো লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। আইনজীবীরা যুক্তি দেন যে ট্রেন তিন ঘণ্টার বেশি দেরিতে ছিল না, তাই রিফান্ডের প্রশ্ন ওঠে না। কিন্তু ফোরাম এই যুক্তি প্রত্যাখ্যান করে বলে যে, ঘোষণার অভাব একটি গুরুতর অবহেলা। ফোরাম রেলওয়েকে সেবার ত্রুটির জন্য দোষী সাব্যস্ত করে স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট, স্টেশন মাস্টার এবং উত্তর রেলওয়ের কর্মকর্তাদেরকে ৭,০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে, যা ৪৫ দিনের মধ্যে ভুক্তভোগী পরিবারকে পরিশোধ করতে হবে।