মার্কিন প্রযুক্তিতে সজ্জিত রাশিয়ার অস্ত্র? রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস

মার্কিন প্রযুক্তিতে সজ্জিত রাশিয়ার অস্ত্র? রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ তিন বছর ধরে চলছে এবং আমেরিকা সহ পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর সত্ত্বেও, একটি নতুন রিপোর্ট বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল পার্টনারশিপ ফর হিউম্যান রাইটস (IPHR), ইন্ডিপেন্ডেন্ট অ্যান্টি করাপশন কমিশন (NAKO) এবং মিডিয়া সংস্থা হান্টারবুক যৌথভাবে এই রিপোর্টটি তৈরি করেছে।

রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, রাশিয়ার যুদ্ধবিমান এবং অস্ত্রশস্ত্রে আজও আমেরিকান সংস্থাগুলির তৈরি যন্ত্রাংশ ব্যবহার হচ্ছে। এমন সব গোপন পথে এই যন্ত্রাংশগুলো পৌঁছাচ্ছে, যা কারোর নজরেও পড়ে না। কীভাবে এই যন্ত্রাংশগুলো তৃতীয় দেশের মাধ্যমে রাশিয়ায় পৌঁছাচ্ছে, তা এই রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে। তাহলে কীভাবে এই নিষেধাজ্ঞার প্রাচীর অতিক্রম করা হলো? কারা এই লুকানো সাপ্লাই রুটের খেলোয়াড়?

নিষেধাজ্ঞা ফাঁকি দিয়ে পৌঁছায় মার্কিন যন্ত্রাংশ
ইউক্রেনে হামলার পর আমেরিকা ও তার সহযোগী দেশগুলো রাশিয়ার ওপর বাণিজ্যিক ও প্রযুক্তিগত নিষেধাজ্ঞার ঝড় তোলে। উদ্দেশ্য ছিল রাশিয়ার যুদ্ধ-ক্ষমতাকে দুর্বল করা। কিন্তু এই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, রাশিয়া ‘ইন্টারমিডিয়েট ট্রেড রুটস’ অর্থাৎ তৃতীয় দেশের মাধ্যমে পশ্চিমা প্রযুক্তি সংগ্রহ করে চলেছে। এই কারণেই রাশিয়ার যুদ্ধবিমান এবং মিসাইল সিস্টেমে এখনও আমেরিকান সংস্থাগুলির ইলেকট্রনিক উপাদান পাওয়া যাচ্ছে।

তিনটি সংস্থার যৌথ রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য
এই রিপোর্টটি ইন্টারন্যাশনাল পার্টনারশিপ ফর হিউম্যান রাইটস (IPHR), ইন্ডিপেন্ডেন্ট অ্যান্টি করাপশন কমিশন (NAKO) এবং মিডিয়া সংস্থা হান্টারবুক যৌথভাবে তৈরি করেছে। রিপোর্টে এও স্পষ্ট করা হয়েছে যে, এই আমেরিকান সংস্থাগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো বেআইনি কাজ করেনি। এই যন্ত্রাংশগুলো প্রায়শই বিভিন্ন হাত এবং দেশের মধ্য দিয়ে রাশিয়ায় পৌঁছায়, যার ফলে সংস্থাগুলো নিজেরাই জানে না যে তাদের পণ্য শেষ পর্যন্ত কোথায় যাচ্ছে।

গ্লোবাল সাপ্লাই চেইনের জটিলতা
বর্তমান সময়ে বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইন এত জটিল এবং বিস্তৃত যে, একটি ছোট চিপ বা সার্কিট শেষ পর্যন্ত কার অস্ত্রে ব্যবহৃত হবে তা খুঁজে বের করা প্রায় আসাম্ভব হয়ে পড়ে। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, রাশিয়া বেশ কয়েকটি ছোট এশিয়ান এবং মধ্য এশীয় দেশের মাধ্যমে এই যন্ত্রাংশগুলো আনার একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে। এর ফলে আমেরিকান নিষেধাজ্ঞার সরাসরি লঙ্ঘন না হলেও, উদ্দেশ্য হাসিল হয়ে যাচ্ছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *