কলেজে অবাধে চলত শ্লীলতাহানি, শিক্ষকরাও থাকতেন নীরব ‘টিচাররা বলতেন, ও ডাকছে, চলে যাও’!

কলেজে অবাধে চলত শ্লীলতাহানি, শিক্ষকরাও থাকতেন নীরব ‘টিচাররা বলতেন, ও ডাকছে, চলে যাও’!

কসবা ল’ কলেজে গণধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। অভিযোগের মূল কেন্দ্রে রয়েছেন কলেজের প্রাক্তনী ও বহিষ্কৃত অস্থায়ী কর্মী মনোজিৎ মিশ্র। ২৫ জুন এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মনোজিৎসহ মোট তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনার পর কলেজের ছাত্রীরা মনোজিতের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ আনছেন। তাদের দাবি, মনোজিৎ যখন তখন ক্লাসে বসে থাকা ছাত্রীদের ডেকে নিত এবং শিক্ষকরাও এই বিষয়ে নীরব থাকতেন। ছাত্রীদের অভিযোগ, তাদের ইউনিয়ন রুমে ডেকে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখা হতো এবং একাধিক ছাত্রী মনোজিতের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন।

পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতা ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে একাধিক প্রমাণ উদ্ধার হয়েছে। যে কমনরুমে ছাত্রীটিকে মারধর করা হয়েছিল, সেখানে রক্তের দাগ পাওয়া গেছে এবং একটি হকিস্টিকও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ফরেনসিক দল নমুনা সংগ্রহ করেছে। এছাড়াও কলেজের সিসিটিভি ফুটেজ ও মনোজিতের মোবাইল থেকে উদ্ধার হওয়া ভিডিও ক্লিপ থেকে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্টেও গুরুতর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, যা যৌন নিগ্রহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এই ঘটনা কলেজের ভেতরের দীর্ঘদিনের ‘দাদাগিরি’ ও প্রশাসনিক উদাসীনতার এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *