প্রেমিকাকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে স্বামীর রাগ চরমে! রাগের মাথায় ভয়ঙ্কর কাণ্ড, যা শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে

বিহারের বেগুসরাই জেলায় জহুরি সুনীল কুমার হত্যাকাণ্ডে পুলিশ এক বড়সড় রহস্য উন্মোচন করেছে। জানা গেছে, সুনীল কুমারকে তার প্রেমিকা স্বামীর সঙ্গে মিলে হত্যা করেছে। এই ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার সিংহোল থানা এলাকার ফতেহপুরে। মৃত সুনীল কুমার (২৮) সিংহোল থানা এলাকার মহারথপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন এবং ফতেহপুর গ্রামে তার একটি ছোট গয়নার দোকান ছিল।
জানা যায়, শুক্রবার সকালে ওই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। লাশের পাশেই একটি শৌচাগারের ট্যাঙ্কি ছিল, যেখানে সুনীলের মোবাইল ফোনও পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে সবার ধারণা ছিল, অপহরণের পর যুবকটিকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু যখন মোবাইলের পরীক্ষা করা হয়, তখন বেরিয়ে আসে আসল সত্য। মোবাইলের কললিস্ট থেকে জানা যায় যে, সুনীলের শেষ কথা হয়েছিল ফতেহপুর গ্রামের প্রিয়াংশু কুমারীর সঙ্গে।
স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই গ্রেফতার
এরপর পুলিশ প্রিয়াংশু কুমারী এবং তার স্বামী জীতেন্দ্র কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা দু’জনেই তাদের অপরাধ স্বীকার করে। ডিএসপি সুবোধ কুমার জানান যে, হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করে ফতেহপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রিয়াংশু কুমারী এবং তার স্বামী জীতেন্দ্র কুমারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ডিএসপি আরও জানান, সুনীল কুমার এবং প্রিয়াংশু কুমারীর মধ্যে গত চার বছর ধরে অবৈধ সম্পর্ক চলছিল। ৩রা জুলাই সন্ধ্যায় সুনীল তার বিবাহিত প্রেমিকা প্রিয়াংশুর বাড়িতে যায় এবং তার সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়।
ঠিক সেই সময়ই মহিলাটির স্বামী বাড়ি ফিরে আসে এবং স্ত্রীকে প্রেমিকের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে সুনীলকে গলা টিপে হত্যা করে। হত্যার পর স্বামী-স্ত্রী দু’জনে মিলে মৃতদেহটি বাড়ির পাশের একটি চারদেয়ালের ভেতরে ফেলে দেয় এবং ফোনটি ট্যাঙ্কির মধ্যে ফেলে দেয়। পুলিশ বর্তমানে দু’জনকেই গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।