রোহিঙ্গা ভোটার ইস্যুতে শুভেন্দুর দাবি, মমতার ক্ষোভ!

বিহারের ভোটার তালিকা যাচাইয়ের পর এবার পশ্চিমবঙ্গেও ‘স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন’ দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিহারে নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা পুনঃমূল্যায়নের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাতেও জাল আধার কার্ড ও পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ভোটার তালিকায় নাম তোলা রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা প্রয়োজন। শুভেন্দুর অভিযোগ, এই অবৈধ ভোটাররা তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্কের অংশ, এবং তালিকা যাচাই হলে তৃণমূল বড় চাপে পড়বে। তিনি জানান, এই পদক্ষেপ ভোটাধিকারের স্বচ্ছতা বাড়াবে এবং অবৈধ নাম বাতিল করবে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, বিহারে ৭.৯৬ কোটি ভোটারের মধ্যে ৮৭ শতাংশকে ‘এনুমারেশন ফর্ম’ দেওয়া হয়েছে, এবং পশ্চিমবঙ্গ সহ আসাম, কেরল, পুদুচেরি ও তামিলনাড়ুতেও এই প্রক্রিয়া শুরু হবে।
অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই উদ্যোগকে ‘এনআরসি-র চেয়েও ভয়ানক’ আখ্যা দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন ১৯৮৭ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে জন্মানো ভোটারদের নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র ও অভিভাবকদের জন্ম শংসাপত্র চাইছে, যা পেছনের দরজা দিয়ে এনআরসি চাপানোর চেষ্টা। মমতা বলেন, এই ‘ষড়যন্ত্র’ রুখতে সব বিরোধী দলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি জানান, বিহার সরকারের কাছে পাঠানো এই চিঠির একটি কপি পশ্চিমবঙ্গ সরকারও পেয়েছে। এই ইস্যুতে রাজনৈতিক তরজা তীব্র হয়েছে, যেখানে শুভেন্দুর দাবি এবং মমতার প্রতিক্রিয়া রাজ্য রাজনীতিতে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।