অপারেশন সিঁদুর! ভারতের বিরুদ্ধে এক জোট পাকিস্তান-চীন-তুরস্ক, চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনল সেনা

সম্প্রতি ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে পরিচিত ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত সংঘাতের সময় ভারতের সামনে যে গভীর কৌশলগত চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে, সে বিষয়ে এক ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেছেন। গত ৭ থেকে ১০ মে পর্যন্ত চলা চার দিনের এই তীব্র সীমান্ত সংঘাতে ভারত কেবল পাকিস্তানের সঙ্গেই নয়, বরং চীন ও তুরস্কের কাছ থেকে সক্রিয় সামরিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রাপ্ত তিনটি ভিন্ন প্রতিপক্ষের মোকাবিলা করেছে। এটি ভারতের প্রতিরক্ষা এবং কৌশলগত সক্ষমতার জন্য একটি গুরুতর পরীক্ষা ছিল।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব আর্মি স্টাফ (ক্যাপাবিলিটি ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সাসটেইনেন্স) লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাহুল আর সিং নিশ্চিত করেছেন যে, চীন তাদের স্যাটেলাইট অবকাঠামো ব্যবহার করে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর অবস্থান ও চলাচল সম্পর্কে পাকিস্তানকে রিয়েল-টাইম গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করেছে। সামরিক অভিযান মহাপরিচালক (ডিজিএমও) পর্যায়ের আলোচনায় পাকিস্তান স্পষ্ট স্বীকার করেছে যে তারা “চীন থেকে সরাসরি তথ্য” পাচ্ছিল, যা বেইজিংয়ের সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ দেয়। এই ঘটনা ভারতের জন্য এক নতুন কৌশলগত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
৪ জুলাই দিল্লিতে FICCI দ্বারা আয়োজিত ‘নিউ এজ মিলিটারি টেকনোলজিস’ শীর্ষক এক সেমিনারে লেফটেন্যান্ট জেনারেল সিং এই সহযোগিতা প্রসঙ্গে আরও বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, বেইজিং এই চার দিনের সংঘাতকে তাদের অস্ত্র ব্যবস্থা পরীক্ষা করার জন্য একটি “লাইভ ল্যাব” হিসেবে কার্যকরভাবে ব্যবহার করেছে এবং “ধার করা ছুরিতে শত্রুকে হত্যা” করার তাদের পুরনো কৌশল অনুসরণ করে পাকিস্তানকে সমর্থন জুগিয়েছে। এই ঘটনা ভারতের জন্য অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং কৌশলগত দূরদর্শিতার প্রয়োজনীয়তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতের উচিত দ্রুত সামরিক আধুনিকীকরণ, কার্যকর বেসামরিক-সামরিক সমন্বয় এবং উদ্ভাবনী প্রযুক্তির দিকে মনোনিবেশ করা, যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের বহুমুখী হুমকির মোকাবিলা করা যায়।