নির্বাচনের আগেই দেশে সংস্কার প্রয়োজন, ইউনূসের সঙ্গীরাই দিচ্ছেন হুঁশিয়ারি

বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে মোহাম্মদ ইউনূসের প্রায় ১০ মাস পূর্ণ হয়েছে, কিন্তু দেশের পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতির দিকে যাচ্ছে। ক্ষমতা গ্রহণের সময় ইউনূস দেশবাসীকে যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, তা এখনও পূরণ হয়নি। রাজনৈতিক দলগুলোর চাপে অন্তর্বর্তী সরকার ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের কথা বলেছে। তবে এখন ইউনূসের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরাই তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টি (এনসিপি) রোববার রাজশাহীতে ‘জুলাই পদযাত্রা ও পথসভা’ আয়োজন করে, যেখানে গণতান্ত্রিক সংস্কার ও ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের দাবি জানানো হয়। এই এনসিপি গঠিত হয়েছে সেই সব ছাত্রদের দ্বারা, যারা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
এনসিপি’র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জনসভায় বলেন, “এই প্রজন্ম বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধানের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, যা জনগণের অধিকার নিশ্চিত করবে এবং স্বৈরাচারিতা দূর করবে।” তিনি ৫ আগস্টের ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেন, “আমরা সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পুনর্গঠনের স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন শক্তি সেই পথ বন্ধ করে দিয়েছে। যারা সংস্কারের পথে বাধা সৃষ্টি করছেন, জনগণ তাদের ক্ষমা করবে না।” নাহিদ, যিনি ইউনূসের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত, তিনি জোর দিয়েছেন যে, এই সংস্কারগুলো নির্বাচনের আগেই সম্পন্ন করা উচিত। চাপ ও প্রতিবাদের মুখে অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষণা করেছে যে, ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।