এই লক্ষণগুলো দেখলেই বুঝবেন কোলেস্টেরল বাড়ছে! দ্রুত পরীক্ষা করান, না হলে বিপদ!

কোলেস্টেরল এমন একটি সমস্যা যার মাত্রা বেড়ে গেলে ব্যক্তি অনেক গুরুতর রোগের শিকার হতে পারেন। এটি এক ধরনের চর্বি যা শরীরের প্রতিটি কোষে পাওয়া যায়। এটি হরমোন, ভিটামিন ডি এবং হজমে সহায়ক পদার্থ তৈরির জন্য অপরিহার্য। যদিও শরীর নিজেই এটি তৈরি করে, তবে এটি খাবারের মাধ্যমেও পাওয়া যায়। কোলেস্টেরল দুই প্রকারের হয় – খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) এবং ভালো কোলেস্টেরল (HDL)।
খারাপ কোলেস্টেরল ধমনীতে জমে প্লাক তৈরি করতে পারে, যার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। অন্যদিকে, ভালো কোলেস্টেরল ধমনী থেকে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল অপসারণ করে এবং হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। যখন কোলেস্টেরলের মাত্রা খুব বেশি বেড়ে যায়, তখন শরীরে কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। এই আর্টিকেলে আমরা সেই প্রাথমিক লক্ষণগুলো নিয়ে আলোচনা করব, যা আপনাকে সতর্ক করবে।
কোলেস্টেরল বাড়ার প্রাথমিক লক্ষণ
১. পায়ে ব্যথা বা অস্বস্তি: পায়ে ব্যথা বা টান, বিশেষ করে ব্যায়ামের সময় বা পরে, পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ (PAD) এর লক্ষণ হতে পারে, যা উচ্চ কোলেস্টেরলের সাথে সম্পর্কিত।
২. শ্বাসকষ্ট: যখন কোলেস্টেরল বাড়ে, তখন ফুসফুসে রক্ত সরবরাহকারী ধমনীগুলো সংকুচিত হওয়ার কারণে শ্বাস নিতে অসুবিধা হতে পারে।
৩. ক্লান্তি এবং দুর্বলতা: উচ্চ কোলেস্টেরলের কারণে রক্ত এবং অক্সিজেনের অভাবে ক্লান্তি এবং দুর্বলতা দেখা দিতে পারে।
৪. অবশতা বা ঝিনঝিন করা: হাত-পায়ে রক্ত প্রবাহ কমে গেলে হাত, পা বা শরীরের অন্যান্য অংশে অবশতা বা ঝিনঝিন অনুভব হতে পারে।
৫. চোখের চারপাশে হলুদ জমাট: এটি কোলেস্টেরল জমার কারণে হতে পারে, যাকে জ্যান্থেলাসমা বলা হয়।
৬. বুকে ব্যথা: কোলেস্টেরল জমার কারণে হৃৎপিণ্ডে রক্ত প্রবাহ কমে গেলে বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি হতে পারে, বিশেষ করে কোনো শারীরিক কার্যকলাপ করার সময়।
৭. ঠান্ডা হাত এবং পা: উচ্চ কোলেস্টেরলের কারণে দুর্বল রক্ত প্রবাহ হাত-পায়ের তাপমাত্রায় পরিবর্তন ঘটাতে পারে।
৮. ঘাড়, চোয়াল বা উপরের পিঠে ব্যথা: মহিলাদের ক্ষেত্রে এইগুলি সাধারণ বুকের ব্যথার পরিবর্তে অন্যান্য লক্ষণ হতে পারে।