মা ও মেয়ের ভয়ংকর ষড়যন্ত্র! প্রেমিকদের সাথে হাত মিলিয়ে স্বামীকে খুন, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর ঘটনা

মা ও মেয়ের ভয়ংকর ষড়যন্ত্র! প্রেমিকদের সাথে হাত মিলিয়ে স্বামীকে খুন, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর ঘটনা

মীরাটের জনি খুর্দ গ্রামের কৃষক সুভাষের হত্যাকাণ্ডের চাঞ্চল্যকর রহস্য উন্মোচন হয়েছে। প্রেম-সম্পর্কে বাধা দেওয়ায় সুভাষকে তার স্ত্রী কবিতা এবং ছোট মেয়ে সোনম, তাদের প্রেমিকদের সাথে মিলে হত্যা করিয়েছে। জানা গেছে, মেয়ের প্রেমিক বিপুল তার বন্ধু আজগর ওরফে শিবমের সাথে গুলি করে সুভাষকে হত্যা করে। এই ঘটনায় মা ও মেয়েসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং সোমবার (৭ জুলাই, ২০২৫) তাদের আদালতে পেশ করা হবে।

গ্রামীণ পুলিশ সুপার রাকেশ কুমার মিশ্র জানান, গত ২৩ জুন রাতে ক্ষেত থেকে ফেরার পথে সুভাষ উপাধ্যায়কে গুলি করে হত্যা করা হয়। সুভাষের ছেলে আয়ুষ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছিলেন। এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের জন্য জনি পুলিশ, নজরদারি দল এবং সোয়াট টিম কাজ করছিল। তদন্তে জানা যায়, নিহত সুভাষের স্ত্রী কবিতা, ছোট মেয়ে সোনম, কবিতার প্রেমিক গুলজার (সিসোলার বাসিন্দা), সোনমের প্রেমিক বিপুল (জওহরনগর কঙ্করখেড়ার বাসিন্দা) এবং বিপুলের বন্ধু আজগর ওরফে শিবমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজগরের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত .৩১৫ বোরের তামানচা এবং একটি বাইকও উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রেম-সম্পর্ক নিয়েই যত বিবাদ
পুলিশ সুপার আরও জানান, সুভাষের স্ত্রী কবিতা এবং মেয়ে সোনম তার হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল। তদন্তে বেরিয়ে এসেছে যে, সুভাষের বড় মেয়ে ডলি কয়েক মাস আগে নিজের পছন্দে তফসিলি জাতির এক যুবককে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন। এখন ছোট মেয়ে সোনমও জওহরনগরের তফসিলি জাতির প্রেমিক বিপুলকে বিয়ে করতে চাইছিল। এদিকে, স্ত্রী কবিতার সঙ্গে সিসোলার গুলজারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। এসব জানতে পেরে সুভাষ বিরোধিতা করতেন।

এ নিয়ে স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে তার প্রতিনিয়ত ঝগড়া হতো। স্ত্রী কবিতা এবং মেয়ে সোনম এই নির্যাতন থেকে মুক্তি পেতে সুভাষকে পথের কাঁটা মনে করতে শুরু করে। স্ত্রী এবং মেয়ে তাদের নিজ নিজ প্রেমিকদের সহযোগিতায় সুভাষকে সরিয়ে ফেলার ষড়যন্ত্র করে। কবিতা, সোনম এবং তাদের প্রেমিক গুলজার, বিপুল এবং তার সহযোগী আজগর ওরফে শিবম মিলে এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেছিল।

যেভাবে হত্যাকাণ্ডের রহস্য ফাঁস হলো
সুভাষকে গুলি করার পর বিপুল ফোন করে সোনম এবং তার মা কবিতাকে খবর দেয়। এরপর দুজনেই বাইকে করে কঙ্করখেড়ার নিজেদের বাড়িতে চলে যায়। বাবার হত্যার পর সোনম বিপুলের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছিল। বিপুল ফোন না করে চ্যাটের মাধ্যমে মেসেজ করতে বলে। নজরদারি দল সবার মোবাইল চেক করে হত্যাকাণ্ডের আগে থেকে শুরু করে পরের সব চ্যাটিং পেয়ে যায়। কবিতার প্রেমিক গুলজারও ২৩ জুন রাতে ঘটনাস্থলের কাছেই ছিল। পুরো ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সেও জানত। কল ডিটেইলস এবং হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটিং-এর মাধ্যমে পুলিশ মা-মেয়েসহ পাঁচজনকেই গ্রেপ্তার করে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *