সকালের এই ৫টি অভ্যাস আপনার লিভারকে নষ্ট করছে! এখনই সাবধান হন

আমাদের লিভার শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা নীরবে কাজ করে। এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়, চর্বি ও চিনিকে মেটাবলাইজ করে এবং সামগ্রিকভাবে আমাদের সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু আমাদের ভুল খাদ্যাভ্যাস এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার প্রভাব লিভারের ওপরও পড়ে, বিশেষ করে সকালের কিছু ভুল অভ্যাসের কারণে। আসুন জেনে নিই, আপনার সকালের কোন অভ্যাসগুলো লিভারের ক্ষতি করছে।
সকালের নাস্তা না করা
অনেক লোক তাড়াহুড়োর কারণে বা ডায়েটিংয়ের অজুহাতে সকালের নাস্তা বাদ দেন। কিন্তু মনে রাখবেন, আপনার লিভারকে সঠিকভাবে কাজ করার জন্য শক্তির প্রয়োজন হয়। দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকলে শরীরে কর্টিসলের মতো স্ট্রেস হরমোন বাড়তে পারে, যা লিভারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই ভুল করেও কখনো সকালের নাস্তা বাদ দেবেন না।
উচ্চ চিনিযুক্ত নাস্তা
অনেকেই নাস্তায় মিষ্টি পছন্দ করেন। এর জন্য তারা জ্যাম-টোস্ট, মাফিন বা হেলদি গ্রানোলা খেয়ে থাকেন, যা লিভারের জন্য একেবারেই ভালো নয়। এগুলোতে থাকা চিনি, বিশেষ করে ফ্রুক্টোজ লিভারে মেটাবলাইজ হয় এবং তা লিভারে চর্বি জমার কারণ হতে পারে। তাই সকালের নাস্তা এমনভাবে নিন যেখানে চিনির পরিমাণ কম এবং প্রোটিন ও ফাইবার বেশি থাকে।
খালি পেটে সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের ভুল
অনেকেই সকালে নাস্তা করেছেন কিনা, সেদিকে খেয়াল না রেখেই সাপ্লিমেন্ট বা ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে ফেলেন। সময়ের সাথে সাথে এর প্রভাব তাদের লিভারের ওপর পড়ে। ভুল সাপ্লিমেন্টের কারণে লিভার সঠিকভাবে ডিটক্স করতে পারে না। তাই সাপ্লিমেন্ট তখনই নিন যখন প্রয়োজন হয় এবং চেষ্টা করুন খাবারের পরই তা গ্রহণ করতে।
সকালের ওয়ার্কআউট বাদ দেওয়া
হয়তো সকালে আপনার হাতে খুব বেশি সময় নেই, কিন্তু আপনি হালকা ব্যায়াম যেমন স্ট্রেচিং, হাঁটা বা যোগা করতে পারেন। এতে আপনার লিভার সুস্থ থাকে। ঘুম থেকে ওঠার পর যদি আপনি একটানা বসে থাকেন, তাহলে মেটাবলিজম ধীর হয়ে যায়, যার প্রভাব লিভারের ওপর পড়ে।
অতিরিক্ত ডিটক্স পানীয় গ্রহণ করা
অনেকেই শরীরকে ডিটক্স করার জন্য প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ডিটক্স পানীয় পান করেন, যা লিভারের জন্য ক্ষতিকর। কিছু লোক অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার, লাল লঙ্কা, লেবু, হলুদ, রসুন ইত্যাদি দিয়ে তৈরি ডিটক্স পানীয় হিসেবে গ্রহণ করেন, যা সম্পূর্ণ ভুল। আপনি সাধারণ লেবুর জল বা অ্যালোভেরা জুস পান করে শরীরকে ডিটক্স করতে পারেন।