মন্দিরের গোপন কুকীর্তি ফাঁস, ২৫ বছর পর ধর্ষিতার দেহ কবর দেওয়ার স্বীকারোক্তি

মন্দিরের গোপন কুকীর্তি ফাঁস, ২৫ বছর পর ধর্ষিতার দেহ কবর দেওয়ার স্বীকারোক্তি

কর্নাটকের জনপ্রিয় ধর্মস্থলা শিবমন্দিরের এক প্রাক্তন দলিত সাফাইকর্মী ২৫ বছর পর বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, ১৯৯৮ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা নাবালিকা ও তরুণীদের ধর্ষণ ও খুন করে তাদের দেহ তাঁর মাধ্যমে মাটি চাপা বা পুড়িয়ে গায়েব করে দিত। সম্প্রতি ধর্মস্থলা থানায় ছবি ও প্রমাণ সহ অভিযোগ দায়ের করে তিনি পুলিশকে কবর দেওয়া দেহাবশেষ উদ্ধারের আর্জি জানিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, মন্দির কর্তৃপক্ষ তাঁর পরিবারের এক নাবালিকার উপর অত্যাচারের চেষ্টা করলে তিনি পরিচয় বদলে পালিয়ে যান।

অভিযোগকারী জানিয়েছেন, অধিকাংশ দেহ পোশাকহীন অবস্থায় পাওয়া যেত এবং সেগুলিতে যৌন নির্যাতন ও শ্বাসরোধ করে হত্যার চিহ্ন স্পষ্ট ছিল। এক মহিলার মুখ অ্যাসিডে ঝলসে দেওয়া হয়েছিল বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এই ভয়াবহ অপরাধের আত্মগ্লানি থেকে মুক্তি পেতে অবশেষে তিনি বিচার ব্যবস্থার দ্বারস্থ হয়েছেন। দক্ষিণ কন্নড়ের পুলিশ সুপার এস পি অরুণ জানিয়েছেন, গত ৩ জুলাই অভিযোগ পেয়ে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ২১১(এ) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং অভিযোগকারীর পরিচয় গোপন রাখার আবেদন রাখা হয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *