চীনের মাথাব্যথার কারণ বাড়ছে কর্মসংকট, পিএইচডি ডিগ্রিধারীরাও ফুড ডেলিভারি বয়

বর্তমানে কর্মসংস্থান তৈরি করা বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ভারতসহ অনেক দেশই এই বিষয়ে কাজ করছে, কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে চীনও এই সমস্যা থেকে মুক্ত নয়। সম্প্রতি, চীন থেকে আসা একটি খবর দেশটির বেকারত্বের গুরুতর অবস্থা তুলে ধরেছে। বেইজিংয়ের বাসিন্দা ডিং ইউয়ানঝাও-এর ঘটনাটি সারা দেশে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি চীনের কঠিনতম পরীক্ষা গাওকাওতে প্রায় নিখুঁত স্কোর করেছিলেন এবং সিঙ্গুয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে স্নাতক, পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও, সিঙ্গাপুরের নানিয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে জীববিজ্ঞানে পিএইচডি এবং অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে জীববৈচিত্রে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। এত চমৎকার একাডেমিক রেকর্ড থাকা সত্ত্বেও, ডিং বর্তমানে বেইজিংয়ের রাস্তায় ফুড ডেলিভারির কাজ করছেন।
তার এই ঘটনাটি চীনের লক্ষ লক্ষ যুবকের প্রতিনিধিত্ব করে, যারা ভালো প্রতিষ্ঠান থেকে পড়াশোনা করার পরেও চাকরির জন্য সংগ্রাম করছেন। ঐতিহ্যবাহী এবং স্থিতিশীল চাকরিগুলো সেখানে দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। বাধ্য হয়ে এই যুবকরা গিগ ইকোনমি যেমন ট্যাক্সি পরিষেবা, ডেলিভারি বয় বা অস্থায়ী কাজে যুক্ত হচ্ছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা দেশগুলির সাথে বাণিজ্য ও প্রযুক্তিগত বিরোধ, ভারতের বিরুদ্ধে প্রক্সি যুদ্ধ এবং বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনে পরিবর্তনের কারণে চীনের অর্থনীতি বর্তমানে অনেক চাপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিদেশী বিনিয়োগ হ্রাস এবং রপ্তানি হ্রাসের কারণে বেকারত্ব আরও বেড়েছে। চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর মতে, মে ২০২৫-এ ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সী যুবকদের মধ্যে বেকারত্বের হার ছিল ১৪.৯%। এটি প্রমাণ করে যে, সেখানকার শিক্ষা ব্যবস্থা এবং কর্মসংস্থান বাজারের মধ্যে একটি বড় ব্যবধান তৈরি হয়েছে। ডিংয়ের ঘটনা কেবল একটি গল্প নয়, এটি চীনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার গভীর ত্রুটির ইঙ্গিত।