নিঃশব্দ বিপদ! এই ৭ ধরনের ছবি মহিলারা ভুলেও শেয়ার করবেন না, AI দ্বারা হতে পারে মারাত্মক অপব্যবহার

নিঃশব্দ বিপদ! এই ৭ ধরনের ছবি মহিলারা ভুলেও শেয়ার করবেন না, AI দ্বারা হতে পারে মারাত্মক অপব্যবহার

বর্তমানে ডিপফেক ইমেজ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করে কার ছবি কিভাবে বিকৃত করা হবে এবং তার অপব্যবহার কোথায় হবে, তা বলা কঠিন। প্রযুক্তির যেমন ভালো ব্যবহার রয়েছে, তেমনই কিছু অসাধু চক্র এই প্রযুক্তির অপব্যবহার করে ছবিকে অশ্লীল বানানোর অপেক্ষায় রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যদি কেউ ফর্মাল পোশাকে একটি পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবি পোস্ট করেন, তাহলে সেই একই ছবি AI অ্যাপের সাহায্যে অশ্লীল এবং মানহানিকর করা সম্ভব। এর মাধ্যমে মহিলাদের বদনাম করা, প্রতিশোধ নেওয়া, একতরফা ভালোবাসার কারণে অযথা হয়রানি করা ইত্যাদি ঘটনা ঘটতে পারে, যা খুবই উদ্বেগজনক।

আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ছবি পোস্ট করেন, তা অসাধু চক্রকে যেন অস্ত্র তুলে দেওয়ারই সমান। কারণ AI অ্যাপের মাধ্যমে সেই ছবিকে আপত্তিজনক করা যায়। ওয়ানইন্ডিয়া হিন্দি, হিন্দুস্তান টাইমসের একটি রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে যে, আপত্তিজনক ছবি তৈরি করার অ্যাপগুলো সহজেই পাওয়া যায়। চিন্তার বিষয় হলো, এখন সেলিব্রিটি নয়, সাধারণ মহিলাদের টার্গেট করা হচ্ছে। এর মধ্যে বিশেষ করে ছাত্রী, কর্মজীবী ​​মহিলা, শিল্প ক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত মহিলা এবং গৃহিণীরা অন্তর্ভুক্ত। যদি আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকেন এবং ছবি পোস্ট করার শখ থাকে, তাহলে কিছু টিপস দেওয়া হলো, যা অনুসরণ করে ঝুঁকি কমানো সম্ভব। তাই এই ধরনের ছবি পোস্ট করা এড়িয়ে চলুন।

কোন ৭ ধরনের ছবি শেয়ার করা বিপদজনক?
১. পূর্ণ দৈর্ঘ্যের এবং কোমরের নীচের ছবি: পূর্ণ দৈর্ঘ্যের, একা দাঁড়িয়ে থাকা পুরো শরীরের ছবি AI-এর জন্য সবচেয়ে সহজ লক্ষ্য। গ্রুপ ছবি বা কোমরের ওপরের ছবি পোস্ট করা বেশি নিরাপদ।

২. টাইট এবং সিঙ্গেল লেয়ার পোশাকের ছবি: টাইট বা এক স্তরের (যেমন ট্রান্সপারেন্ট) পোশাক, যা শরীরের সাথে লেগে থাকে, AI-কে আপনার শরীরের আকার অনুমান করতে সহজ করে তোলে। জ্যাকেট, ওড়না বা স্কার্ফের মতো স্তর যোগ করা AI-এর কাজকে কঠিন করে তোলে।

৩. পরিষ্কার বা সাধারণ ব্যাকগ্রাউন্ডের ছবি: এই ধরনের ছবি AI-এর জন্য সবচেয়ে অনুকূল। পাবলিক প্লেস বা প্রাকৃতিক ব্যাকগ্রাউন্ড ব্যবহার করা ভালো বিকল্প।

৪. উচ্চ রেজোলিউশনের ছবি: ছবির স্পষ্টতা যত বেশি হবে, ঝুঁকি তত বেশি। হালকা ফিল্টার বা কম রেজোলিউশনের ছবি বেশি নিরাপদ।

৫. ওয়াটারমার্ক ছাড়া ছবি: একটি হালকা ওয়াটারমার্ক AI-কে বিভ্রান্ত করতে পারে। আপনার নাম বা ব্যবহারকারীর নামের চেয়ে হালকা টেক্সট যোগ করা নিরাপদ।

৬. সোজা পোজ এবং খোলা হাতের ছবি: সোজা দাঁড়িয়ে ছবি তোলা AI-এর জন্য একটি আদর্শ পরিস্থিতি। হাত ভাঁজ করে, ব্যাগ ধরে বা সাইড পোজ দেওয়া বেশি ভালো।

৭. একই অ্যাঙ্গেল বা স্টাইলের ছবি: বারবার একই ধরনের ছবি পোস্ট করলে AI প্রশিক্ষণ পায়। তাই পোজ এবং অ্যাঙ্গেলে বৈচিত্র্য রাখুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *