মর্মান্তিক! খৎনার জন্য অ্যানাস্থেশিয়ার পর ২ মাসের শিশুর মৃত্যু, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ?

কেরলের কোঝিকোড়ে এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। বাবা-মা খৎনা করানোর জন্য ২ মাসের শিশুকে হাসপাতালে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু সেটাই শিশুটির কাল হলো। অ্যানাস্থেশিয়া দেওয়ার পর শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়, কিন্তু সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে এবং পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
জানা গেছে, শিশুটির জন্ম নির্ধারিত সময়ের ২৭ দিন আগে হয়েছিল এবং সে ছিল প্রি-ম্যাচিওর বেবি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বাবা-মা শিশুটির সঠিক আধুনিক চিকিৎসা করাননি, কারণ তারা আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় বিশ্বাস করতেন না। শিশুটির মা একজন আকুপাংচার (Acupuncture) চিকিৎসক এবং সন্তানের মৃত্যুর পর তিনি আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিরোধিতায় সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেছেন, যা এই ঘটনাকে আরও জটিল করে তুলেছে।
রবিবার শিশুটিকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে খৎনার জন্য নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। খৎনা করার আগে শিশুটিকে লোকাল অ্যানাস্থেশিয়া (Local Anaesthesia) দেওয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে যে, এরপরই শিশুটির শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। সেখান থেকে তাকে তড়িঘড়ি একটি স্থানীয় নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেখানে ডাক্তাররা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। মৃত শিশুটির নাম এমিন আদম।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ওই শিশুকে লোকাল অ্যানাস্থেশিয়া দেওয়ার পর সে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এরপরই তাকে অন্য একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার (Bharatiya Nagarik Suraksha Sanhita) ১৯৪ ধারা অনুযায়ী এফআইআর (FIR) দায়ের করা হয়েছে এবং দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, যে হাসপাতালে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেখানকার চিকিৎসকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। শিশুর মা ও বাবা-কেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গেছে।