রাফালের ‘অদৃশ্য যুদ্ধ ক্ষমতা’য় পাকিস্তান লণ্ডভণ্ড! F-16 পাইলটের ‘অপারেশন সিন্দূর’ নিয়ে চাঞ্চল্যকর ফাঁস

ভারতের ‘অপারেশন সিন্দূর’-এর সময় অত্যাধুনিক যুদ্ধ কৌশল এবং প্রযুক্তিগত বুদ্ধিমত্তার প্রদর্শন দেখে মুগ্ধ প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা এটিকে আধুনিক যুদ্ধের এক ‘মাস্টারস্ট্রোক’ বলছেন। চার দিন ধরে চলা এই যুদ্ধে ভারতীয় বিমানবাহিনী পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ধোঁকা দিয়ে শুধু রাডারকেই বিভ্রান্ত করেনি, বরং শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্র এবং উন্নত যুদ্ধবিমানগুলিকেও ভুল পথে চালিত করেছে। আমেরিকার প্রাক্তন F-15E এবং F-16 পাইলট রায়ান বোডেনহাইমার এটিকে “এখনও পর্যন্ত দেখা সেরা স্পুফিং এবং ডিকেপশন” বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি বলেছেন যে, ভারতের ‘অপারেশন সিন্দূর’ মিশনের মূল প্রাণ ছিল রাফাল ফাইটার জেটে লাগানো X-Guard ডিকয় সিস্টেম, যা একটি ইলেকট্রনিক প্রতারণার সরঞ্জাম। এটি শত্রুর চোখের সামনেই তাকে অন্ধ করে দিয়েছে। বোডেনহাইমার আরও উল্লেখ করেছেন যে, এই অপারেশনটি কেবল প্রযুক্তির দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, এটি দক্ষিণ এশিয়ায় আকাশপথে ক্ষমতার ভারসাম্যকেও নতুন করে সংজ্ঞায়িত করেছে।
রাফালে থাকা X-Guard কী?
X-Guard কোনো সাধারণ পাল্টা আক্রমণ বা ফ্লেয়ার নয়। এটি একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা পরিচালিত টোড ডিকয়, যা রাফাল জেটের পেছনে ১০০ মিটার লম্বা ফাইবার-অপটিক তারের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকে। এর ওজন মাত্র ৩০ কিলোগ্রাম এবং এই ডিকয় ৫০০ ওয়াটের ৩৬০-ডিগ্রি জ্যামিং ক্ষমতা নিয়ে শত্রুর রাডারকে বিভ্রান্ত করে দেয়, এতটাই কৌশলে যে শত্রু আসল এবং নকল জেটের মধ্যে পার্থক্য ধরতে পারে না। এর সবচেয়ে বড় অস্ত্র হলো AI-ড্রাইভেন স্পুফিং প্রযুক্তি। এই ডিকয় রাফালের রাডার ছবি, গতি (ডপলার শিফট) এবং গতিবিধিকে হুবহু নকল করে, যার ফলে শত্রুর AESA রাডার বা ক্ষেপণাস্ত্র হোমিং সিস্টেম এটিকে আসল জেট বলে মনে করে। ফাইবার-অপটিক লিংকের কারণে এই সিস্টেম পাইলটের সাথে নিরন্তর যোগাযোগ বজায় রাখে এবং ইলেকট্রনিক জ্যামিংয়ের বিরুদ্ধে সুরক্ষিত থাকে।
রায়ান বোডেনহাইমারের মতে, ‘অপারেশন সিন্দূর’-এর সময় ভারতীয় বিমানবাহিনী এর চমৎকার ব্যবহার করেছিল। পাকিস্তানের PL-15E ক্ষেপণাস্ত্রগুলির শক্তিশালী স্পুফিং মোকাবিলা করার ক্ষমতা ছিল না, যার কারণে তারা রাফাল যুদ্ধবিমানের সামনে সম্পূর্ণ অসহায় দেখাচ্ছিল। X-Guard পাকিস্তানের চীনা ক্ষেপণাস্ত্র এবং পাকিস্তানের J-10C যুদ্ধবিমানের AESA রাডারকে ভুল দিকে পরিচালিত করেছিল, যার ফলে তারা ছায়ার পিছু ছুটছিল। এই কারণেই পাকিস্তান প্রথমে ভারতের কয়েকটি বিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছিল, কিন্তু আসলে তারা X-Guard-কে আঘাত করেছিল এবং তাদের এই ভ্রম হয়েছিল যে তারা ভারতীয় বিমানগুলিকে ভূপাতিত করেছে।
রায়ান বোডেনহাইমার বলেছেন যে আমেরিকার কাছে AN/ALQ-50 এবং ADM-160 MALD-এর মতো ডিকয় সিস্টেম রয়েছে। কিন্তু X-Guard কিছু ক্ষেত্রে সেগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে। এটি ২ সেকেন্ডেরও কম সময়ে স্থাপন করা যায় এবং এটি পুনরায় ব্যবহার করা যেতে পারে। এই ডিকয় যুদ্ধবিমানের উইংম্যানের মতো কাজ করে, অর্থাৎ যুদ্ধের সময় শত্রুর মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য একটি সক্রিয় ‘মিথ্যা সঙ্গী’ হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও, X-Guard নিয়ন্ত্রণকারী AI সিস্টেম, যুদ্ধের সময় প্রাপ্ত ইনপুটগুলির উপর ভিত্তি করে সিগন্যালে পরিবর্তন ঘটায়, যার ফলে ক্ষেপণাস্ত্র হোমিং এবং রাডার লক ক্রমাগত বিভ্রান্ত থাকে। এটি ভারতের ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার ক্ষমতাকে এমন স্তরে নিয়ে গেছে, যেখানে এখন যুদ্ধ শুধু অস্ত্র দিয়ে নয়, বরং ডেটা এবং বিভ্রান্তি দিয়েও লড়া হয়।