স্বামী হলেন পক্ষাঘাতগ্রস্ত, সেই সুযোগে স্ত্রীর জীবনে এল ‘পরপুরুষ’, তারপর যা ঘটলো… শিউরে উঠবেন

ভারতে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্বামী হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনা বেড়েই চলেছে। এই ধারায় এবার মহারাষ্ট্রের নাগপুর থেকে আরও একটি হৃদয়বিদারক এবং হতবাক করা ঘটনা সামনে এসেছে। এখানে স্বামী পক্ষাঘাতগ্রস্ত ছিলেন এবং দীর্ঘ দিন ধরে এই রোগে ভুগছিলেন। এরই মধ্যে স্ত্রীর একাকী জীবনে প্রবেশ করে এক ‘পরপুরুষ’, আর সেই পরকীয়ার টানে স্ত্রী এমন এক কাণ্ড ঘটিয়েছেন যা জানলে আপনি স্তম্ভিত হয়ে যাবেন।
কী ঘটেছিল পুরো ঘটনায়?
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ৩০ বছর বয়সী অভিযুক্ত মহিলার নাম দিশা রামটেক। দিশার স্বামী চন্দ্রসেন পক্ষাঘাতগ্রস্ত ছিলেন এবং তার চিকিৎসা চলছিল। এই সময়েই দিশা তার প্রেমিক আসিফ ওরফে রাজা বাবু টায়ারওয়ালার সংস্পর্শে আসেন। দ্রুতই দিশা এবং আসিফের সম্পর্কের পথে চন্দ্রসেন একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়ান। যখন চন্দ্রসেন তার স্ত্রী এবং আসিফের অবৈধ সম্পর্কের কথা জানতে পারেন, তখন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এ নিয়ে তীব্র বিটাণ্ডা শুরু হয়।
স্ত্রী ধরলেন, প্রেমিক গলা টিপে ধরলেন
নিজের স্বামীকে মুক্তি দিতে এবং তার প্রেম সম্পর্ক চালিয়ে যেতে দিশা এবং আসিফ মিলে একটি ভয়ানক ষড়যন্ত্র করেন। একদিন যখন চন্দ্রসেন ঘুমাচ্ছিলেন, তখন তারা তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। দিশা তার স্বামীকে বিছানায় শক্ত করে ধরে রাখেন যখন আসিফ তার মুখ চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করেন। এই ঘটনা ঘটানোর পর মহিলা পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন এবং দাবি করেন যে তার স্বামীর মৃত্যু তার অসুস্থতার কারণে হয়েছে।
পোস্টমর্টেমে রহস্য উদঘাটন, দুই আসামি গ্রেপ্তার
তবে পুলিশের তদন্ত এবং মৃতদেহের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট সমস্ত সত্য সামনে এনে দেয়। পোস্টমর্টেম রিপোর্টে স্পষ্ট হয় যে চন্দ্রসেনের মৃত্যু অসুস্থতার কারণে নয়, বরং শ্বাসরোধের কারণে হয়েছে। পুলিশ কঠোরভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অভিযুক্ত মহিলা দিশা তার অপরাধ স্বীকার করেন। নাগপুর পুলিশ দ্রুততার সাথে অভিযুক্ত মহিলা দিশা রামটেক এবং তার প্রেমিক আসিফ ওরফে রাজা বাবু টায়ারওয়ালা উভয়কেই গ্রেপ্তার করেছে।
এই ঘটনাটি সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে ঘটে যাওয়া একই ধরনের হত্যাকাণ্ডের কথা মনে করিয়ে দেয়, যেখানে ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশীকে তার স্ত্রী সোনম রঘুবংশী তার প্রেমিক রাজ কুশওয়াহার সাথে মিলে হত্যা করিয়েছিলেন। নাগপুরের এই ঘটনাটি আবারও সম্পর্কের অবক্ষয় এবং জঘন্য অপরাধের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তোলে।