কনফার্ম ট্রেনের টিকিট বাতিলের নিয়ম কী? কোন পরিস্থিতিতে পুরো টাকা ফেরত পাওয়া যায়?

ভারতীয় রেলওয়ে সময়ে সময়ে অনেক পরিবর্তন করে থাকে, যাতে যাত্রীদের ভ্রমণে কোনো অসুবিধা না হয়। ট্রেনে ভ্রমণের জন্যও অনেক নিয়ম তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে টিকিট বুক করার জন্যও রেলওয়ে অনেক পদ্ধতি দিয়েছে। অনেকেই কাউন্টার থেকে টিকিট কাটেন, আবার অনেকে রেলওয়ের চালু করা অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বুক করতে পারেন। এর মাধ্যমে প্ল্যাটফর্ম টিকিট, রিজার্ভ এবং আনরিজার্ভ টিকিট বুক করা যায়। অনেক সময় টিকিট বুক করার পর যাত্রীরা টিকিট বাতিল করে দেন। এই সময় কিছু লোক রিফান্ড পান এবং কিছু পান না। জেনে নিন এমনটা কেন হয়, এর জন্য রেলওয়ের কী নিয়ম রয়েছে?
টিকিট বাতিলের নিয়মাবলী
৪৮ ঘণ্টা আগে বাতিল করলে: মোট ভাড়ার ২৫ শতাংশ কাটা হবে।
ট্রেন ছাড়ার ১২ ঘণ্টা থেকে ৪ ঘণ্টা আগে পর্যন্ত বাতিল করলে: মোট ভাড়ার ৫০ শতাংশ কাটা হবে।
ট্রেন ছাড়ার পর: টিকিট বাতিল করা যাবে না।
যদি টিকিট কনফার্ম না হয় এবং যাত্রী চার্ট তৈরির আগে বাতিল করেন, তাহলে প্রতি যাত্রী ৬০ টাকা কাটার পর বাকি টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
RAC (Reservation Against Cancellation) টিকিট চার্ট তৈরির আগে বাতিল করলে ৬০ টাকা কাটা হবে। তবে, চার্ট তৈরির পর কোনো রিফান্ড দেওয়া হয় না।
কোন টিকিটের জন্য কত টাকা কাটা হবে?
IRCTC-এর ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যদি আপনি সেকেন্ড ক্লাসের টিকিট নিয়ে থাকেন, তাহলে ৬০ টাকা কাটা হবে। স্লিপার ক্লাসে ১২০ টাকা, AC 3 টায়ারের জন্য ১৮০ টাকা, AC 2 টায়ারে ২০০ টাকা এবং ফার্স্ট AC ক্লাসের টিকিটের ক্ষেত্রে ২৪০ টাকা বাতিল চার্জ নেওয়া হবে।
ই-টিকিটের জন্য নিয়ম কী?
কনফার্ম ই-টিকিট চার্ট তৈরির পর অনলাইনে বাতিল করা যায় না। এমন পরিস্থিতিতে, ‘টিকিট নেওয়া হয়নি’ (TDR) ফর্ম পূরণ করে রিফান্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন।
এছাড়া, ওয়েটিং টিকিট চার্ট তৈরির আগে নিজে থেকেই বাতিল হয়ে যায়, যার টাকা ফেরত দেওয়া হয়। যদি কোনো কারণে ট্রেন বাতিল হয়ে যায়, তাহলে সম্পূর্ণ ভাড়া ফেরত দেওয়া হয়। ই-টিকিটের জন্য কোনো পদক্ষেপ নিতে হয় না, টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার অ্যাকাউন্টে ফিরে আসে। এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে IRCTC-এর ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে পারেন।