গভীর ঘুমে ছিল যাত্রী, তখনই ‘চোর’ পকেটে হাত দিল – তারপর যা ঘটলো তা দেখে কেউ এই ভুল করবে না! ভাইরাল ভিডিও

রেল ভ্রমণের সময় প্রায়শই চুরির ঘটনা সামনে আসে। ভিড়ের মধ্যে বা রাতে ঘুমানোর সময় চোরেরা প্রায়শই মানুষের মোবাইল, পার্স ইত্যাদি চুরি করে নেয়, যার কারণে যাত্রীদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও দ্রুত ভাইরাল হচ্ছে, যেখানে রেলওয়ে পুলিশ একজন ঘুমন্ত যাত্রীর পকেট থেকে ফোন বের করে নেয় এবং এর পরে যা ঘটে, তা দেখে যাত্রী সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় সবাই হতবাক।
পুলিশ কেন ঘুমন্ত যাত্রীর পকেট থেকে ফোন বের করল?
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন পুলিশ কর্মী চলন্ত ট্রেনে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন একজন যাত্রীকে দেখেন এবং তার পকেট থেকে খুব সাবধানে মোবাইল ফোনটি বের করে নেন। এরপর পুলিশ কর্মীরা বগিতে উপস্থিত অন্যান্য যাত্রীদের দেখান যে কীভাবে চোরেরা এত সহজে কারো পকেট থেকে ফোন বের করে নেয়। তারা বলেন, “দেখুন, কত গভীর ঘুমে আছে, ফোন এভাবে গায়েব হয়ে গেল। এদের ২৫ থেকে ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়ে গেল।” পুলিশ কর্মীরা এও বলেন যে, প্রায়শই চুরি এভাবেই হয় এবং আশেপাশে কেউ থাকে না যে মালপত্রের খেয়াল রাখতে পারে।
পুলিশ যাত্রীদের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দিল
ভিডিওতে আরও দেখানো হয়েছে যে, পুলিশ কর্মীরা সেই যাত্রীকে জাগিয়ে তোলেন এবং তাকে জিজ্ঞাসা করেন যে তার মোবাইল ফোন কোথায়। লোকটি ঘুমের ঘোরে ফোন খুঁজতে থাকে এবং যখন পায় না, তখন ঘাবড়ে যায়। তখন পুলিশ কর্মীরা তাকে ফোন ফেরত দিয়ে বোঝান যে নিজের মালপত্রের খেয়াল রাখা কতটা জরুরি। এই ভিডিওর মাধ্যমে পুলিশ যাত্রীদের সচেতন করছিল যে ভ্রমণের সময় কোন ধরনের অসাবধানতা তাদের বড় ক্ষতি করতে পারে। যদিও, প্রায়শই বলা হয় যে ঘুমানোর সময় মাথা ভেতরের দিকে রাখুন এবং মূল্যবান জিনিসপত্রের সুরক্ষার জন্য নিজেই দায়িত্ব নিন, যাতে চোরদের থেকে বাঁচা যায়।
ব্যবহারকারীরা কী বললেন?
এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল ইনস্টাগ্রামে ‘@ghantaa’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা হয়েছে। এই লেখা পর্যন্ত ভিডিওটি হাজার হাজার মানুষ দেখেছেন এবং অনেকেই ভিডিওটি লাইক করে মন্তব্যও করেছেন। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “এটা তো সত্যিই বড় ভুল, একটা ভুল আর চলন্ত ট্রেন থেকে জিনিসপত্র গায়েব।” অন্য একজন ব্যবহারকারী বলেছেন যে, “২ বছর আগে পুলিশ তার সাথেও এমন কিছু করেছিল, যার পর থেকে সে আজ পর্যন্ত তার জিনিসপত্রের খেয়াল রাখে।” ভাইরাল ভিডিওর আসল উদ্দেশ্য ছিল মানুষকে চুরি থেকে বাঁচানো এবং তাদের জিনিসপত্র সম্পর্কে সচেতন করা।