বানসালির সিনেমা: ‘পদ্মাবত’ থেকে ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’ পর্যন্ত জাঁকজমক

বানসালির সিনেমা: ‘পদ্মাবত’ থেকে ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’ পর্যন্ত জাঁকজমক

নয়াদিল্লি: সঞ্জয় লীলা বনশালী কেবল একজন পরিচালক নন, ভারতীয় সিনেমার এক অমূল্য রত্ন। তাঁর ছবিগুলো—সেটা ‘পদ্মাবত’-এর দৃশ্যমান মহিমা হোক, ‘বাজিরাও মাস্তানি’-এর কাব্যিক গভীরতা হোক অথবা ‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি’-এর আবেগময় শক্তি—ভারতীয় সংস্কৃতি এবং আত্মাকে জীবন্ত করে তোলে। বানসালির গল্পগুলি কেবল দর্শকদেরই মুগ্ধ করে না, বরং বিশ্ব মঞ্চে ভারতীয় সিনেমাকে একটি নতুন পরিচয়ও দেয়।

বানসালিকে রাজ কাপুর, কে. এর সাথে তুলনা করা হয়েছে। আসিফ এবং গুরু দত্তের মতো কিংবদন্তিদের সাথে তুলনা করা হয়েছে, এবং তুলনাটি একেবারেই উপযুক্ত। তাঁর ছবিগুলি ‘পদ্মাবত’-এর মতো ক্লাসিকের সাথে জাঁকজমক এবং আবেগের ভারসাম্য বজায় রাখে। প্রতিটি ফ্রেমে খুঁটিনাটি, প্রতিটি চরিত্রের গভীরতা এবং সঙ্গীতে জাদু – এটাই বানসালির বিশেষত্ব। চলচ্চিত্র সমালোচক রবি ভার্মা বলেন, “বানসালির চলচ্চিত্রগুলি কেবল গল্প নয় বরং একটি অভিজ্ঞতা, যা ভারতীয় ঐতিহ্যকে গর্বের সাথে উপস্থাপন করে।” বিশ্বব্যাপী সিনেমার যুগেও, তিনি ভারতীয় মূল্যবোধকে কেন্দ্রে রাখেন, যা তাকে অনন্য করে তোলে।

এখন বানসালির নতুন ছবি ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’ খবরে, যেখানে রণবীর কাপুর, আলিয়া ভাট এবং ভিকি কৌশলের মতো তারকারা অভিনয় করছেন। এই ছবিটি ভারতীয় সিনেমার জন্য একটি নতুন রেকর্ড স্থাপন করতে চলেছে। সিনেমা বিশেষজ্ঞ শালিনী গুপ্ত বলেন, “বনসালির গল্পগুলি প্রাচীন ও আধুনিকতার মিশ্রণ, যা দর্শকদের একটি আবেগঘন ও দৃশ্যমান যাত্রায় নিয়ে যায়।” বানসালির এই প্রকল্পটি কেবল তার সৃজনশীলতারই প্রমাণ নয়, বরং ভারতীয় চলচ্চিত্রের ভবিষ্যৎ গঠনের জন্য তার দৃষ্টিভঙ্গিকেও প্রতিফলিত করে। তার চলচ্চিত্রগুলি অতীতকে সংরক্ষণ করে এবং ভবিষ্যতের পথ দেখায়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *