ঋষি কাপুরের অপূর্ণ স্বপ্ন: ক্যানসারের কাছে হারলেন ‘টিঙ্গুজি’, পূরণ হল না দুটি ইচ্ছে
পাঁচ বছর আগে, ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল, করোনার অন্ধকার সময়ে ক্যানসারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর চিরবিদায় নেন বলিউডের প্রিয় মুখ ঋষি কাপুর। তাঁর প্রয়াণ শুধু কাপুর পরিবারের নয়, লাখো ভক্তের হৃদয়ে গভীর শোকের ছাপ ফেলে। তুর্কি কবি নাজিম হিকমত বলেছিলেন, শোকের আয়ু এক বছর, কিন্তু ঋষি কাপুরের স্মৃতি আজও তাঁর পরিবার ও ভক্তদের কাছে অমলিন। তাঁর মেয়ে রিদ্ধিমা কাপুর সম্প্রতি বাবার দুটি অপূর্ণ ইচ্ছের কথা প্রকাশ করেছেন, যা তাঁর প্রয়াণের শূন্যতাকে আরও গভীর করে।
রিদ্ধিমার বর্ণনায়, ঋষি কাপুরের প্রথম ইচ্ছে ছিল ছেলে রণবীর কাপুরের বিয়ে দেখা। কিন্তু ২০২০ সালে তাঁর মৃত্যুর দুই বছর পর, ২০২২ সালে রণবীর অভিনেত্রী আলিয়া ভাটকে বিয়ে করেন। দ্বিতীয় ইচ্ছে ছিল বান্দ্রায় নির্মীয়মাণ নতুন বাড়িটি সম্পূর্ণ হওয়া দেখা। সেই বাড়ি তৈরি হয়েছে, কিন্তু ঋষি তা দেখে যেতে পারেননি। “বাবা সবসময় রণবীরের সুখী সংসার এবং নতুন বাড়ির স্বপ্ন দেখতেন,” বলেন রিদ্ধিমা, চোখে আবেগ নিয়ে। তাঁর কথায় ফুটে ওঠে এক পিতার অপূর্ণ আকাঙ্ক্ষার বেদনা।
ঋষি কাপুর রক্তের ক্যানসারে (লিউকেমিয়া) আক্রান্ত হয়েছিলেন। বিদেশে উন্নত চিকিৎসা সত্ত্বেও তিনি এই রোগের কাছে হার মানেন। তাঁর প্রয়াণ বলিউডের একটি যুগের অবসান ঘটায়। রণবীর এখন আলিয়া ও তাঁদের মেয়ে রাহার সঙ্গে সুখী জীবনযাপন করছেন, কিন্তু পরিবারের প্রতিটি সদস্য ঋষির অভাব গভীরভাবে অনুভব করেন। “বাবার হাসি এবং উষ্ণতা আমাদের প্রতিদিন মনে পড়ে,” বলেন রণবীর এক সাক্ষাৎকারে।
ঋষি কাপুরের অপূর্ণ ইচ্ছেগুলো তাঁর জীবনের সরলতা ও পারিবারিক মূল্যবোধের প্রতিফলন। তাঁর চলচ্চিত্র, হাসি এবং ‘টিঙ্গুজি’র উষ্ণতা ভক্তদের হৃদয়ে চিরজাগরূক। তাঁর প্রয়াণের পাঁচ বছর পরও তিনি স্মৃতিতে অমর। এই গল্প কেবল শোকের নয়, একটি পরিবারের ভালোবাসা ও স্মৃতিরও।