করিনা কাপুরের এক শর্তে সৈফের সঙ্গে বিয়ে, অভিনয় ছাড়ার কথা শুনলেন না বেবো

বলিউডের আইকনিক অভিনেত্রী করিনা কাপুর খান কাপুর পরিবারের গর্ব এবং তাঁর অভিনয় দিয়ে সিনেমা জগতে এক অনন্য স্থান তৈরি করেছেন। তবে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও কম চর্চিত নয়। শাহিদ কাপুরের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ব্রেকআপে শেষ হওয়ার পর তিনি ১০ বছরের বড় এবং বিবাহবিচ্ছিন্ন সৈফ আলি খানের সঙ্গে ২০১২ সালে বিয়ে করেন। এই বলিউড পাওয়ার কাপলের দাম্পত্য এখন ১২ বছরে পা দিয়েছে, এবং তাঁরা তৈমুর ও জাহাঙ্গীর নামে দুই ছেলের গর্বিত পিতামাতা। কিন্তু জানেন কি, করিনা একটি বিশেষ শর্ত ছাড়া সৈফকে বিয়ে করতেন না? “আমি সৈফকে বেছে নিয়েছিলাম কারণ তিনি আমাকে স্বনির্ভর নারী হিসেবে বাঁচতে দিয়েছেন,” বলেছিলেন করিনা এক সাক্ষাৎকারে।
করিনা প্রকাশ করেছিলেন, তিনি বিয়ের পরেও চলচ্চিত্রে কাজ চালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন, এবং সৈফ তাঁর এই ইচ্ছার প্রতি সম্মান দেখিয়েছিলেন। “আমি চেয়েছিলাম ক্যারিয়ার এবং ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে, এবং সৈফ তা সমর্থন করেছেন,” বলেন তিনি। ২০০৭ সালে শাহিদের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার পর সৈফের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। ২০০৬ সালে ‘ওমকারা’ ছবিতে অজয় দেবগনের সঙ্গে তাঁরা একসঙ্গে কাজ করলেও, তাঁদের প্রেমের গল্প শুরু হয় ২০০৮ সালে ‘টশন’ ছবির সেটে, যেখানে অক্ষয় কুমারও প্রধান ভূমিকায় ছিলেন।
‘টশন’-এর শুটিং চলাকালীন সৈফ ও করিনা প্রায়ই একসঙ্গে হাঁটতেন এবং গল্প করতেন, যা তাঁদের সম্পর্কের ভিত্তি তৈরি করে। পাঁচ বছরের ডেটিং এবং লিভ-ইন সম্পর্কের পর ২০১২ সালে তাঁরা বিয়ে করেন। বয়স বা ধর্মের বাধা অতিক্রম করে তাঁদের প্রেম একটি আদর্শ স্থাপন করেছে। “করিনার স্বাধীনতার শর্ত এবং সৈফের সমর্থন তাঁদের বন্ধনের মূল শক্তি,” বলেন বলিউড বিশ্লেষক শিবানী সেন। বিয়ের পরও করিনা ‘লাল সিং চঢ্ঢা’, ‘ক্রু’ এবং ‘বকিংহাম মার্ডার্স’-এর মতো ছবিতে দাপট দেখিয়ে নিজের প্রতিভা ও স্বাধীনতা প্রমাণ করেছেন।