মুম্বাই, ৩ মে ২০২৫: আলিয়া ভাটের নাম আজ বলিউডের শীর্ষ অভিনেত্রীদের তালিকায় উজ্জ্বল। স্বল্প সময়ে অসাধারণ খ্যাতি অর্জন করা এই তারকা প্রখ্যাত পরিচালক মহেশ ভাট ও অভিনেত্রী সোনি রাজদানের কন্যা। বাড়িতে চলচ্চিত্রের পরিবেশে বেড়ে ওঠা আলিয়া ছোটবেলা থেকেই সিনেমার জগতের সঙ্গে পরিচিত ছিলেন। তবে তাঁর প্রতিভা এবং কঠোর পরিশ্রম তাঁকে আজ হিন্দি সিনেমার অন্যতম সফল অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। আশ্চর্যের বিষয়, তাঁর প্রথম প্রধান চরিত্রের জন্য তাঁকে ৪০০ মেয়ের মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হয়েছিল।

আলিয়া ১৯৯৩ সালের ১৫ মার্চ মুম্বাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র ৬ বছর বয়সে তিনি ১৯৯৯ সালে মুক্তি পাওয়া অক্ষয় কুমার ও প্রীতি জিন্টা অভিনীত ‘সংঘর্ষ’ ছবিতে শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন। এই ছবিতে তিনি প্রীতির শৈশবের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। “আলিয়ার শৈশব থেকেই ক্যামেরার সামনে স্বাচ্ছন্দ্য ছিল অসাধারণ,” বলেছেন ছবির একজন সহ-প্রযোজক। তবে আলিয়ার আসল যাত্রা শুরু হয় ২০১২ সালে করণ জোহর প্রযোজিত ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’ ছবির মাধ্যমে। এই ছবিতে শানায়া সিংহানিয়ার চরিত্রে তাঁর অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করে। কিন্তু এই চরিত্রের জন্য তাঁকে ৪০০ মেয়ের মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। করণ জোহর এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, “মুম্বাই ও অন্যান্য শহর থেকে প্রায় ৪০০ মেয়ের স্ক্রিন টেস্ট নেওয়া হয়েছিল। আলিয়ার প্রতিভা আমাদের মুগ্ধ করেছিল।”

গত ১৩ বছরে আলিয়া অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছেন। তাঁর প্রথম ছবি ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’ বক্স অফিসে হিট হয়। এরপর তিনি ‘রাজি’, ‘গঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি’, ‘ব্রহ্মাস্ত্র: পার্ট ওয়ান’, ‘গলি বয়’, ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’, ‘আরআরআর’, ‘বদ্রীনাথ কি দুলহনিয়া’, ‘ডিয়ার জিন্দেগি’, ‘২ স্টেটস’ এবং ‘হাম্পটি শর্মা কি দুলহনিয়া’র মতো ব্যবসাসফল ও সমালোচকপ্রশংসিত ছবি উপহার দিয়েছেন। “আলিয়া এই প্রজন্মের সবচেয়ে প্রতিভাবান অভিনেত্রীদের একজন। তাঁর বহুমুখী অভিনয় আমাদের বারবার অবাক করে,” বলেছেন চলচ্চিত্র সমালোচক তরণ আদর্শ। আলিয়ার এই যাত্রা প্রমাণ করে, প্রতিভা এবং পরিশ্রমের সমন্বয়ে আসাম্ভবকেও সম্ভব করা যায়।